প্রধানমন্ত্রীর বিমান অবতরণ জটিলতা, ৩ জন ক্লোজড
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জুন ২০১৬, ১১:৪৫ অপরাহ্ণপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইট অবতরণ জটিলতার ঘটনায় তার আকাশপথের নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। একই সঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় সিভিল এভিয়েশনের গাফিলতি ও দৈন্যদশার চিত্রও পুনরায় ফুটে উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবারও তিনজনকে ক্লোজ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কোনোভাবেই গত মঙ্গলবারের ঘটনার দায়দায়িত্ব এড়াতে পারে না। অথচ বেবিচকের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকেই প্রধান করে গঠন করা হয়েছে এ ঘটনার তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিচালক (শাহজালাল) গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হাসানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি বিমান, সিভিল এভিয়েশন ও এটিএস বিভাগের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এর মধ্যে ঘটনার দিন টেকনিক্যাল হওয়া দাম্মামগামী বিমানের (বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর) পাইলট ক্যাপ্টেন শোয়েব আলী, একজন প্রকৌশলী, সিভিল এভিয়েশন ও এটিএস বিভাগের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন। পরিচালক (শাহজালাল) গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হাসান বলেন, ‘তদন্ত চলছে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট করে কোনো কিছু বলা সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, ‘আরও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কাল নাগাদ রিপোর্ট নাও দেওয়া হতে পারে।’
গত মঙ্গলবার বিকেলে সৌদি আরব থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটিকে যথাসময়ে নামতে দেওয়া হয়নি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ধাতব টুকরা পড়ে থাকার কারণে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে আকস্মিকভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটিকে ঢাকার আকাশে উড়তে হয়েছে বাড়তি ৩৭ মিনিট। পরে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা রানওয়ে পরিষ্কার করার পর বিমানটি অবতরণ করে। . . . . . . . . .