জীবন ছাড়া সবকিছুরই দাম বেড়েছে
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০১৬, ১১:২৯ অপরাহ্ণভোটে সহিংসতার জন্য যে কোনো মূল্যে জয়ে মরিয়া মনোভাব ও সামাজিক অস্থিরতাকে দায়ী করে প্রধান নির্বাচন কমিশন কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ (সিইসি) বলেছেন, ‘এখন জীবনের দাম ছাড়া সবকিছুরই দাম বেড়েছে।’
শনিবার ইসির মিডিয়া সেন্টারে ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোট শেষে সার্বিক নিরাচন পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী রকিবউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের সহিংসতার বড় কারণ হচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। আজকাল আমাদের অস্থিরতা। এটা এখন সমাজের সর্বস্তরে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের আচড়িয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। সামান্য কারণে যেমন মোবাইল ফোন চুরির জন্য মেরে ফেলা হচ্ছে।’
‘জীবনের দাম এখন সবচাইতে কম হয়ে গেছে। এখন জীবনের দাম ছাড়া সবকিছুরই দাম বেড়েছে’, বললেন সিইসি।
সহিংসতারোধে সামাজিক আন্দোলন জোরালো হলে আগামীতে আরো ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সহিংসতারোধে আমাদের সামাজিক পারসেপশনটা পরিবর্তন আনতে হবে। মটিভেশন দরকার। ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তা ছাড়াই নির্বাচন করতে পারবো।’
অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে- এমন ভোট করে ইসির প্রতিক্রিয়া কী? এ প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিবউদ্দিন বলেন, ‘যে কোনো মানুষের প্রাণহানি দুঃখজনক। এ বিষয়ে কমিশন শোকাহত। আমরা চাই না একটিও প্রাণহানি হোক; কিন্তু অন্যদিকে শত-সহস্র নিরীহ ভোটার, নির্বাচনী কর্মকর্তা, রাষ্ট্রীয় মালামাল সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এখানে দৃষ্টি রাখতে হবে সন্ত্রাসীরা যেনো নিজের দখলে নিতে না পারে। সেজন্য আমরা যেটুকু ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন আমরা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সহিংসতার আরো কারণ হচ্ছে- কর্মীদের মধ্যে মরামারি, ইউপি ভোট খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ- সেজন্যে তিক্তটা একটু বেশি। মনস্তাত্তিক বিষয়- যারা ভোটে দাঁড়ান তিনিই যোগ্য, ভোটাররা কী ভাবলো তা তারা তোয়াক্কা করে না। সেজন্যে যে কোনোভাবে জিততে তারা মরিয়া হয়ে যান। এ জন্য এসব সহিংসতা ঘটনা ঘটছে।’ . . . . . . . . .