এখনও ৩ কোটি সিমের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন বাকি
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মে ২০১৬, ১১:১৮ অপরাহ্ণবায়োমেট্রিক সিম রেজিস্ট্রেশনের আর মাত্র তিন দিন বাকি। অথচ এখনও তিন কোটির বেশি সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়নি।
সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে সেলুলার ফোন অপারেটররা সর্বোচ্চসংখ্যক সিমের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন নিশ্চিত করতে নগদ অর্থ ও পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে।
তবে শেষ মুহূর্তে গ্রাহকরা ‘সংযোগে ত্রুটির’ জটিলতার মুখোমুখি হতে পারেন যাতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমের ব্যবহারে বিপত্তি ঘটতে পারে।
অপারেটরদের গ্রাহকসেবা এজেন্টরা নাম প্রকাশ না করে বাসসকে বলেন, গ্রাহকদের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ ও সনাক্তকরণে তাদের ঘন ঘন নেটওয়ার্ক বিপত্তি অথবা মারাত্মক ডাউন প্রবলেম-এর মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সচিব ও মুখপাত্র সারোয়ার আলম বলেন, সকল অপারেটরকে তারা সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা কোনো হয়রানি ছাড়াই নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারেন।
বিটিআরসি বুধবার বলেছে, দেশে চালু মোট ১৩.১৯ কোটি মোবাইল সংযোগের মধ্যে ৯.৭০ কোটি সিম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
এরআগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সতর্ক করে দিয়ে বলেন, পুনঃনির্ধারিত মেয়াদ অনুযায়ী বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন ৩১ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, তবে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন বহির্ভূত সিম এই দিন ‘জিরো আওয়ার’ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
বায়োমেট্রিক নিবন্ধন পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থা এবং পরবর্তী ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী আগামীকাল তার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানাবেন।
এদিকে বিটিআরসি গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণের জন্য তাদের কোড-‘ ‘২৮৭২’ চালু করেছে।
সপ্তাহের ৫ দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই কোড নম্বরের মাধ্যমে তারা অভিযোগ গ্রহণ করবে।
গত ১৬ ডিসেম্বর সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আঙুলের ছাপ না দিয়ে এখন আর নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। এই পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এক আইনজীবী গত ৯ মার্চ হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন।
তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে।
রুলের ওপর ৩ ও ১০ এপ্রিল শুনানি নিয়ে আদালত ১২ এপ্রিল রায়ের জন্য দিন রাখে। ওই দিন গ্রাহকের আঙুলের ছাপ নিয়ে বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইলের সিম নিবন্ধনকে বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
পূর্ব ঘোষণা অনুসারে বায়োমেট্র্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনের প্রথম দফায় বেধে দেওয়া সময়ের শেষ দিন ছিল ৩০ এপ্রিল। তবে পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের কথায় সিম নিবন্ধনে সময় বাড়ার ইঙ্গিত মেলে। এরপর সিম নিবন্ধনের সময় এক মাস বাড়ানো হয়।
বাসস . . . . . . . . .