বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরকারী পেলেন নৌকার টিকিট
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ এপ্রিল ২০১৬, ১০:৪৩ অপরাহ্ণচতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাঙচুর মামলার প্রধান আসামিকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন পাওয়া মো. তোফাজ্জেল হোসেন ওরফে গেন্দু কাজী বিএনপি থেকে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৮ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৎকালীন বিএনপি নেতা মো. তোফাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক বেপারীর ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় ইউনিয়ন পরিষধে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাঙচুর, চার টন গম লুট ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তারা। এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. আবুল কালাম কালকিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মাদারীপুর জেলা আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৩ সালের একটি হত্যা মামলায় তিনি সাজাভোগ করেছেন।
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেনের বাবা গেন্দু কাজী প্রথম থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বাবা মো. জুলফিকার আলী ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। গেন্দু কাজী সম্প্রতি বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তবে তার ছেলে কাজী মুরাদ হোসেন ছাত্রদল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেননি।
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মালেক হাওলাদার, প্রচার সম্পাদক আ. হাকিম হাওলাদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. আনিস সরদার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, তোফাজ্জেল হোসেন আওয়ামী লীগে যোগদান করেই মনোনয়ন পেয়েছেন। যা অবিশ্বাস্য।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. মজিবুর রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘তৃণমূল আওয়ামী লীগের ভোট আমি গেন্দু কাজীর চেয়ে এগিয়ে ছিলাম। রহস্যজনক কারণে আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে তোফাজ্জেল হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইলে বার বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কালকিনি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলাল বাংলামেইলকে বলেন, ‘মামলাটি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। মামলাটি দলের কেউ করেনি। সেটি ছিল আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। গেন্দু কাজী নিয়ম মেনেই আওয়ামলী লীগে যোগ দিয়েছেন। তিনি এখন আওয়ামী লীগের লোক। অর্থের বিনিময়ে মনোনায়ন দেয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন।
বাংলামেইল
. . . . . . . . .