বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল চৌধুরীর বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ এপ্রিল ২০১৬, ১০:৪১ অপরাহ্ণসিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, সেচ্ছাচারিতা ও লুটপাটের নানান অভিযোগ ওঠেছে। সোমবার উপজেলার নতুন বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নূর উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সরকারি কোনো বরাদ্দই পাননি তিনি। প্রায় ২ বছর ধরে সকল বরাদ্দ উপজেলা চেয়ারম্যান ভূয়া প্রকল্পের নামে আত্মসাৎ করেছেন। ২০১৫ সালের জুন মাসে আসা এডিপির বিশেষ বরাদ্দের টাকাও ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছে উপজেলা চেয়ারম্যান। সে দুর্নীতির তদন্ত চলমান রয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ জানালে তিনি নূর উদ্দিনকে হত্যার পাঁয়তারা শুরু করেন বলে অভিযোগ করেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩০ মার্চ দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা থেকে ফেরার পথে উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী ও তার ভাই সুমন পারভেজ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান নূর উদ্দিন। পরে উপজেলার দশপাইকা গ্রামেও তার উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার প্রদত্ত কোন নীতিমালা মানেন না। নির্ধারিত কৌটার বরাদ্দকৃত অর্থও প্রদান করেন না নূর উদ্দিনকে Ñএমন অভিযোগ তার। তিনি বলেন, প্রতি মাসে অনুষ্ঠিত পরিষদের সমন্বয় সভার জন্য আপ্যায়ন বাবদ সরকারের বরাদ্দ দেওয়া ২০ হাজার টাকা চেয়ারম্যান খরচ না করে আত্মসাৎ করেন। আর সমন্বয় সভায় আপ্যায়ন ব্যয় ইউপি চেয়ারম্যানরা পর্যায়ক্রমে বহন করেন। তাছাড়া চেয়ারম্যান নিজের বাড়িতে থেকেও সরকারের কাছ থেকে প্রতি মাসে বাসা ভাড়া বাবৎ ৪ হাজার টাকা করে আত্মসাৎ করছেন। ব্যক্তিগত কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে প্রতি মাসে পরিষদ থেকে তেল খরচের টাকা (প্রায় ১০ হাজার) আত্মসাৎ করছেন।
নূর উদ্দিন বলেন. গত নভেম্বর থেকে সম্মানী ভাতা পর্যন্ত তিনি দিচ্ছেন না। এমনকি এসব বিষয়ে তাকে কোনো কথা বললে উল্টো গালাগালি করেন। এসব বিষয় তদন্তপূর্বক উপজেলার চেয়ারম্যান সুহেল চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান নূর উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- এলাকার মুরব্বী আবদুল হক, ইউনুছ আলী, কাওছার খান, সুরমান খান, শাহ্ জাহান, ফয়জুল ইসলাম, আজাদুর রহমান, শাহ ইসলাম উদ্দিন, মাসুক আহমদ, মুসলিম আলী, জোয়াদ আলী, সৈয়দ আহমদ, সুনু মিয়া, লিলু মিয়া, আল-আমিন, সিরাজ আহমদ, মাছুম আহমদ, আছকির আলী, সুন্দর আলী, শাহ আমির উদ্দিন, সিরাজ মিয়া, নাজমুল ইসলাম, দুলাল আহমদ, শেখ রাজন, শাহাব উদ্দিন, সাহেদ আহমদ, আল-আমিন, মিছবাহ উদ্দিন প্রমুখ। . . . . . . . . .