তনুর ‘আতঙ্কিত’ পরিবারের সন্ধান মিললো
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মার্চ ২০১৬, ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণসিলেটেরকন্ঠডটকম::
একমাত্র আদরের মেয়ে সোহাগী জাহান তনু খুন হওয়ার পর পাঁচদিন অনেকটা আত্মগোপনেই ছিল তার পরিবার। সবার অগোচরে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন তারা। কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের মির্জাপুরে তাদের গ্রামের বাড়ি। গোটা গ্রামেই এখন যেন চলছে শোকের মাতম।
তনুর পরিবারের আত্মগোপনের খবর ছড়িয়ে পড়লে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী বৃস্পতিবার সেখানে ছুটে যান।
তারা বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং তনুর কবর জিয়ারত করে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
এ সময় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন এবং মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ হাজার টাকা তনুর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন ইউএনও। পরে জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল শোকাহত পরিবারটিকে এক খণ্ড খাস জমি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন।
ইউএনও’কে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরে বুক ফাটা আর্তনাদ শুরু করেন তনুর বাবা-মা ও স্বজনরা। এসময় শোকাবহ পরিবেশের অবতারণা হয়।
তনুর বাবা মায়ের মুখ থেকে বারবার শুধু একটিই আকুতি শোনা যায়- আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই।
কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় কলেজছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে। তনুর বাবা ইয়ার হোসেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী। তিনি মুরাদনগর উপজেলার নবগঠিত বাঙ্গরা বাজার থানায় মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তারা দুই ছেলে এবং সোহাগী জাহান তনুই ছিল একমাত্র মেয়ে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় মির্জাপুর বাজার মোড়ে জানাজা শেষে মির্জাপুর কবরস্থানে তনুর লাশ দাফন করা হয়। পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও এ পর্যন্ত ঘাতকদের শনাক্ত করতে না পারায় পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সোহাগীর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, তনুকে যখন খুঁজে পাওয়া যায় তখন মাথার পেছন দিকে আঘাতের চিহ্ন ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তাই গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।’ তিনি মেয়ের হত্যার রহস্য উদঘাটন ও খুনিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
. . . . . . . . .