উদ্বিগ্ন ব্রিটেনের বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মার্চ ২০১৬, ১০:২৩ পূর্বাহ্ণলন্ডনে পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে করে ঢাকা থেকে লন্ডনে পণ্য পরিবহনে ব্রিটিশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার কারণে ৫ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেনে সবজি আমদানিকারকরা। দ্রুত এই সংকট নিরসনের উদ্যোগ না নিলে ইমেজ সংকট তো বটেই, ব্রিটেনে অবস্থিত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আরও মারাত্মক পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্সের নেতারা।
এদিকে সর্বশেষ এ সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ বিমান হারাবে বছরে অন্তত ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব। এ ছাড়া সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হওয়ার বিষয় তো রয়েছেই।
উপরন্তু সংকটের সমাধান না হলে শুধু পণ্য রপ্তানি নয়, যাত্রী পরিবহনেও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সবকিছু মিলিয়ে খুবই চিন্তিত আছেন ব্রিটেনের বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এমআর চৌধুরী মাহতাব বলেন, যুক্তরাজ্যের বাজারে প্রায় ৫০টি দেশ থেকে খাদ্যপণ্য আসে। ওইসব দেশ ব্রিটিশ সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ করতে পারলেও একমাত্র বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। ব্রিটেনে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের টিকে থাকতে হলে এ সংকট থেকে জরুরি ভিত্তিতে বেরিয়ে আসতে হবে।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট শাহগির বখত ফারুক বলেন, এ ঘটনা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ইমেজ সংকটে পড়বে এবং আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকসহ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
যুক্তরাজ্যে ৭ লাখ বাঙালির বসবাস। এত সংখ্যক জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদার অনেক কিছুই পূরণ করে বাংলাদেশ থেকে আসা পণ্য। প্রবাসীরা দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে বাংলাদেশি শাকসবজির বিশাল বাজার তৈরি করেছেন লন্ডনে। তা থেকে বাংলাদেশের প্রতি বছর ৪-৬ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। ওই সবজি আমদানি প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে কয়েক হাজার বাংলাদেশিও সম্পৃক্ত।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশ ভেজিটেবল এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রফিক হায়দার বলেন, ঢাকা থেকে লন্ডনে পণ্য পরিবহনে ব্রিটিশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে ব্যবসায়িকভাবে বির্পযয়ের মুখে পড়বে আমদানি-রপ্তানিসহ বিভিন্ন সেক্টর। অন্যদিকে বাংলাদেশেও এই পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বেকার হয়ে যাবে।
ইউকে-বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক আব্দুল কাইয়ুম খালিক জামাল বলেন, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়া অন্য এয়ারলাইন্সে পণ্য পরিবহন করলে চার্জ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ট্রানজিটে ব্যয় হওয়া বাড়তি সময়ের কারণে সবজির গুণগতমান বজায় রাখাও কঠিন হবে। এ ক্ষেত্রে ক্রেতাদের ধরে রাখা কঠিন হবে।
. . . . . . . . .