স্যান বার্নার্ডিনো হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সৈয়দ রিজোয়ান ফারুকের আইফোন আনলকে এফবিআই-কে সহায়তা করতে অ্যাপলকে দেওয়া আদালতের নির্দেশ আর তার পরবর্তী প্রেক্ষাপটগুলো এখন প্রযুক্তিপ্রেমিদের নখদর্পণেই থাকার কথা। এই সিরিজের নতুন খবর হচ্ছে, এফবিআই-এর উদ্দেশ্যে নতুন জবাব দিয়েছেন অ্যাপল প্রধান টিম কুক। তবে, এই তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কুক যেমনটা দাবী করেছেন—সংবাদপত্রের মাধ্যমেই প্রথম তিনি এফবিআই-এর দাবী সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, তা একেবারেই সত্য নয়।
বিবিসির সূত্র বলছে, এফবিআইয়ের ওই দাবীর কথা সর্বপ্রথম অ্যাপলের আইন বিভাগকেই সর্বপ্রথম জানানো হয়েছিল।
কুক মন্তব্য করেছেন, “আমি চাইনা বিষয়টা রেললাইনের মতো সামনে বাড়তে থাকুক। আমি মনে করি না, এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ের ফয়সালা এভাবে হওয়া উচিত।”
কুকের ওই মন্তব্যের বিপরীতে কোনো মন্তব্য প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন একজন এফবিআই মুখপাত্র, জানিয়েছে বিবিসি।
এফবিআই-কে ‘ব্যাকডোর’ করে দেওয়া তো দূরের কথা, অ্যাপল যেন আরও উল্টোপথেই হাঁটছে। এফবিআই-এর মামলায় প্রস্তাবিত উপায়ে কোনোভাবেই যাতে এই ডিভাইস আনলক করা সম্ভব না হয় সেজন্য নিজেদের ডিভাইস উন্নত করার কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি, খবর মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
এর আগে এফবিআই আবদার করে বসেছে স্যান বার্নার্ডিনো হত্যাকাণ্ড সমাধানে কেবল ওই একটি ফোন নয়, সকল আইফোনের জন্যই যখন-তখন আনলকের একটি ‘পথ’ বানিয়ে দিতে হবে অ্যাপলকে। যদিও এফবিআই বলছে, এই তদন্তের জন্য কেবল একবারই ব্যবহার করা হবে ওই সুবিধা। ওই দাবীর সমর্থনে আদালতের আদেশও এখন এফবিআইয়ের হাতে।
জবাবে, আদালতের নির্দেশ স্বত্বেও ওই দাবীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে অ্যাপল। অ্যাপলের দাবী ওই ব্যবকডোর তৈরি করা হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ আইফোন রাশিয়ান-চীনা-ইরানী হ্যাকারদের সামনে অরক্ষিত হয়ে পরবে।
এফবিআই-এর চাওয়া পথটিকে ‘ক্যান্সার সমতুল্য সফটওয়্যার’ হিসেবে উল্লেখ করে কুক বলেন, “আমি মনে করি জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
“মানুষের সুরক্ষা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর আমরা জানি এই বিনিময় মানুষের গোপনীয়তা অবিশ্বাস্যভাবে লঙ্ঘন করতে পারে”, যোগ করেন তিনি।
ভবিষ্যতে আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কা মাথায় নিয়ে অ্যাপল তদন্তে বাধা দিচ্ছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “কিছু কাজ অনেক কষ্টের আর কিছু কাজ সঠিক। আর কিছু কাজ দুটোই, এটা সেগুলোর মধ্যে একটা।”
. . . . . . . . .