উচ্ছৃংখল জীবনের করুন পরিনতির শিকার যুবতী সোনিয়া
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১০:০২ পূর্বাহ্ণরাজধানী ঢাকায় বিউটি পার্লার খোলার পর থেকে ‘অন্যপথে’ চলে যান বরিশালের মেয়ে সোনিয়া। তবে, ‘পাপ, বাপকেও ছাড়েনা’ সে কথা আবারো সত্য করে সে বিপথে যাবার চরম মূল্য দিতে হলো এবার সোনিয়াকে !
কক্সবাজার সাগরপাড়ের তারকা হোটেল দ্য কক্স টুডেতে নিহত সোনিয়া আক্তার (২৫) নামের তরুণীর মৃতদেহ মঙ্গলবার মর্গ থেকে নিয়ে গেছেন তার পিতা আলমগীর মাতবর। মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজারে পৌঁছে তিনি মেয়ের মরদেহটি গ্রহণ করেন।
কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, সোনিয়ার বাবা আলমগীর মাতবর বরগুনা জেলার খেজুরতলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি চায়ের দোকানদার। মেয়ে সোনিয়া সম্পর্কে পিতা বলেন, নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করার পর রাজধানী ঢাকায় গিয়ে শেওড়াবাজার এলাকায় একটি বিউটি পার্লার খোলে সোনিয়া। সেখানেই পরিচয় হয় তার বন্ধুদের সঙ্গে।
অপর একটি সূত্র জানায়, বিউটি পার্লার খোলার পর পরিচয়ের সূত্রধরে সুজিত রায়ের সঙ্গে গত ৩ বছর ধরে তিনি ‘লিভ টুগেদার’ করছিলেন। মূলত বিউটি পার্লার খোলার পর থেকে ‘অন্যপথে’ চলে যান সোনিয়া। স্বল্প শিক্ষিত এই মেয়ে ওঠাবসা শুরু করেন বিত্তশালীদের সঙ্গে। এরপর থেকেই মদসহ বিভিন্ন মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন।
সম্প্রতি তার ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতে এসে উঠেন তারকা হোটেল কক্স টু ডেতে। সেখানে রেবাবার বিকেলে বন্ধুসহ মদপান করেন। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হোটেলের দ্বিতীয় তলার এয়ারকুলার আউটডোর ইউনিটের (আউট কমপ্রেসার) সঙ্গে আটকানো অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে ওই তরুণীর তিন বন্ধু সুজিত রায়, সামিউল ও ওমর ফারুককে ৫৪ ধারায় আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। বর্তমানে তারা কারাগারেই রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে তাদেরকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার অপারেশন অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম জানান, ঘটনাটি কি হত্যা না আত্মহত্যা, না কি দুর্ঘটনা- তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে। এরপরই নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।
. . . . . . . . .