ইউপি নির্বাচন : ৭০ টিতে বিএনপি নেই, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আ.লীগের ২৫ চেয়ারম্যান
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১১:০২ অপরাহ্ণআসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২৫ প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে ৭০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই । ইসির তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রথম ধাপে ৭৩৮ ইউনিয়ন পরিষদে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষ হওয়ার পর দেখা গেছে, ২৫টিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলছেন। কারণ ওইসব ইউপিতে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের বা স্বতন্ত্র প্র্রার্থী নেই।
এর আগে মনোনয়নপত্র জমা নেয়ার শেষ দিন ছিল সোমবার। আর মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রার্থীদের একটা তালিকা তৈরি করে। ইসির যুগ্মসচিব জেসমিন টুলী বলেন, “মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।”
ইসির করা তালিকা থেকে জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই ৭০টি ইউনিয়নে। বাছাই ও প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
ইসির তথ্যে দেখা যায়, অন্তত তিনটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী এবং তিনটিতে বিএনপির একাধিক প্রার্থী রয়েছে। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার যোগীপল এবং কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আলমবাড়ি ইউপিতে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী নৌকা প্রতীক চাইছেন।
অন্যদিকে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঠলবাড়ী ও বাঁশকান্দি ইউনিয়ন এবং পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সুঠিয়াকাঠী ইউনিয়নে ধানের শীষ প্রতীক চাইছেন একাধিক প্রার্থী।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান সন্ধ্যায় জানান, আওয়ামী লীগের ৭৪১ জন এবং বিএনপির ৬৬৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৪৫ জন, জাতীয় পার্টির ১৪৮ জন, জাসদের ৩০ জন, বিকল্পধারার ৫ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ২৪ জন, জেপির ২০ জন, বিএনএফের ৭ জন, জেএসডির ১ জন, সিপিবির ৪ জন, তরীকত ফেডারেশনের ১ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ২ জন, কল্যাণ পার্টির ১ জন, ন্যাপের দুজন ও জাকের পার্টির ১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
যে ২৫ ইউপিতে একক প্রার্থী
ঝালকাঠির নলছিটির উপজেলার নাচনমইল; বাগেরহাটের মংলা উপজেলার সোনাইলতলা, রামপাল উপজেলার মালিকেরবে, চিতলমারীর চরবানিয়ারি, বড়বাড়িয়া, হিজলা, সন্তোষপুর, কলাতলা; ফকিরহাট, মুলঘর, মোল্লাহাটের আটজুড়ি, কোদালিয়া, কুলিয়া, উদয়পুর, বেমরতা, বিষ্ণুপুর, ডেমা, গোটাপাড়া, যাত্রাপুর, মোড়েলগঞ্জের পঞ্চকরণ; বরগুনা সদরের বুড়িচর; ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদী; মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর; মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার জৈনসার এবং সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সহকারী সচিব আশফাকুর রহমানের তথ্য অনুযায়ী, ৭০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই।
. . . . . . . . .