ফুটপাতে মন্ত্রী পদমর্যাদার ভিভিআইপি!
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০১৬, ৯:২৭ অপরাহ্ণতিনি মন্ত্রী পদমর্যাদার ভিভিআইপি ব্যক্তি কিন্তু ফুটপাতে ঘুমান! নাম তার এস এম মতিউর রহমান। অবশ্য ভিজিটিং কার্ডে নামের আগে লাগিয়েছেন পীর শব্দটি। নামের পরেই লেখা আছে মন্ত্রী পদমর্যাদার ব্যক্তি ভিভিআইপি গবেষক, সড়ক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলের বিপরীতদিকের রাস্তার ফুটপাতে অবস্থানকালে এ প্রতিবেদকের চোখে কথিত এই ভিভিআইপি বৃদ্ধ ধরা পড়েন।
ফুটপাতে ছালা বিছিয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে বেশ আয়েশী ভঙ্গিতে পা মেলে ঘুমাচ্ছিলেন মতিউর রহমান। সাদা চুল, সাদা গোফ দাঁড়ি, মোটা পাওয়ারের চশমা পরিহিত মতিউরের পরনে ছিল তেল চিটচিটে চেক লুঙ্গি ও ফুল হাতা সোয়েটার। পাশে রাখা এক জোড়া চামড়ার স্যান্ডেল ও টিয়া রংয়ের একটি ব্যাগ। গলায় ঝুলানো ফিতাসহ একটি কার্ড। কিছুক্ষণ পর পর চোখ বন্ধ করেই আবার বিড় বিড় করে কি যেন বলছিলেন।
কৌতুহলবশত সামনে এগিয়ে যেতেই দেখা গেল তার গলায় ঝুলানো কার্ডটি আসলে একটি ভিজিটিং কার্ড। সেখানে নাম ও পদ-পদবীর পরই লেখা রয়েছে ‘আল্লাহ বলিতেছে আমি বিশ্ব নেতা, চকবাজার থানা, লালবাগ থানা ও ডিজিএফআই আমাকে দেখে। সহপাঠী প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেন, প্রাক্তন যুগ্মসম্পাদক ৬১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, ঢাকা। প্রাক্তন ছাত্রলীগের কর্মী ও ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলনের অগ্রভাগের কর্মী, দফতর সম্পাদক জাকের পার্টি লালবাগ থানা, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আজাদ মুসলিম পাবলিক লাইব্রেরি, আজীবন সদস্য বরিশাল জেলা সমিতি ও প্রাক্তন নির্বাহী কমিটির সদস্য বরিশাল জেলা সমিতি।’
আপনি কী করেন প্রশ্ন করতেই চোখ দুটো বড় বড় করে তাকালেন। এরপর দুচোখ বন্ধ করে হাত উচিয়ে আকাশ পানে মিনিট খানেক চুপচাপ থেকে বললেন, আমি পীর আওলিয়া। আঙ্গুল তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, উনার অনুমতি ছাড়া কথা বলি না। অনুমতি কি পাওয়া গেছে, জিজ্ঞাসা করলে জবাব দেন হ্যাঁ অনুমতি পাওয়া গেছে। বলেন কি বলবেন, কি সমস্যা। কোনো সমস্যা নেই বলতেই চটে গেলেন তিনি, সমস্যা নেই তো এসেছেন কেন?
আপনার পরিচয় কি, কি করেন ইত্যাদি জানতে চাই বলতেই এক নিশ্বাসে বলতে লাগলেন, ডিজিএফআই ও থানা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা তাকে সব সময় নজরে রাখেন। লোকজনের উপকার করেন। কিভাবে উপকার করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এত কথা বলার পারমিশন নেই। বলে চোখ বন্ধ করলেন। অনেক চেষ্টা করেও তার মুখ থেকে আর কোনো কথা বের করা গেল না।
. . . . . . . . .