চার ভাগে বিভক্ত সুনামগঞ্জ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারীর হস্তক্ষেপ কামনা

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জানুয়ারি ২০১৬, ২:১৯ অপরাহ্ণকোন্দল পিছু ছাড়ছে না সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগে। অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনটি চার ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে স্থগিতাদেশ তিন মাস আগে প্রত্যাহার হলেও এখন পর্যন্ত অনেক উপজেলায় সম্মেলন করতে পারেনি জেলা নেতারা। অন্যদিকে নেতাকর্মীদের একাংশ জেলা ছাত্রলীগ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, সিলেট বিভাগের কৃতি সন্তান জাকির হোসেনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে জেলা ছাত্রলী সভাপতি ও সাধারণ এক হয়ে রাজনীতি করলেও সম্প্রতি তারা আলাদা হয়ে গেছেন। আলাদাভাবে কর্মসূুচি পালন করছেন। অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতা দেওয়ান এনায়েত রেজা জিসান ও দীপংকর কান্তি দে’র নেতৃত্বাধীন অংশ জেলা আওয়ামী লীগ ও যুগ্ম সম্পাদক আবুল আহসান শিহাবের নেতৃত্বাধীন অংশ জেলা যুব লীগের আহŸায়ক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনের বলয়ে রাজনীতি করছেন।
সম্প্রতি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণের নেতৃত্বে একাংশ ডিএস রোডের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী’র নেতৃত্বে একাংশ পৌরসভা চত্বরে, যুগ্ম সম্পাদক আবুল আহসান শিহাবের নেতৃত্বাধীন অংশ উকিলপাড়ায় যুবলীগ কার্যালয়ে এবং ছাত্রলীগ নেতা দেওয়ান এনায়েত জিসান রাজা ও দীপংকর কান্তি দে’র নেতৃত্বে আরেকাংশ রমিজ বিপণির জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভা করে।
ছাত্রলীগ নেতা দেওয়ান এনায়েত রেজা জিসান বলেন,‘জেলা কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে, আমাদের দাবি নতুন কমিটি গঠন করে প্রকতৃ ছাত্রদের হাতে নেতৃতৃ¦ তোলে দেয়া হোক। আর সব উপজেলায় সম্মেলন করতে না পারা তাদের ব্যর্থতা।
জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল আহসান শিহাব বলেন,‘ সভাপতি ও সম্পাদক নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। তারাও দীর্ঘদিন ধরে পৃথক কর্মসূচি পালন করে আসছে। মাঝে কিছু সময় তারা একত্রে ছিল। মেয়াদ উর্ত্তীন জেলা কমিটিরই কমিটিই সব কিছুর জন্য দায়ী, কেন্দ্র স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করলেও জেলা নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন উপজেলায় সম্মেলন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণ বলেন,‘ ধারবাহিকভাবে বিভিন্ন উপজেলায় কমিটি দেয়া হবে।
গত বছরের ২৭ আগস্ট দলের হাই কমান্ডকে না জানিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব কমিটির সহ-সভাপতিকে হস্তান্তর করায় সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পরে ২৮ অক্টোবর কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ফজলে রাব্বী স্মরণকে সভাপতি ও রফিক আহমেদ চৌধুরী সাধারণ স¤পাদক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্র। পরবর্তীতে সভাপতি-সাধারণ স¤পাদক ঠিক রেখে ২০১৪ সালে ১২১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
. . . . . . . . .