প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রস্তুত সিলেট:ছয় স্তরের নিরাপত্তা
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জানুয়ারি ২০১৬, ১:২৯ অপরাহ্ণপ্রধানমন্ত্রী ২১ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সিলেট এসে পৌঁছাবেন। এরপর হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে মদন মোহন কলেজের হীরকজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। পরে সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে বেশ তোড়জোড় চলছে। নিরাপত্তার সমন্বয় করার জন্য এক বাহিনী অন্য বাহিনীর সাথে দফায় দফায় বৈঠকে মিলিত হচ্ছে। একের পর এক পরিকল্পনাকে ঘষেমেজে তৈরী করা হচ্ছে নিখুঁত পরিকল্পনা। বুনা হচ্ছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার জাল।
প্রধানমন্ত্রীর সফরে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। তবে পুরো সফরে নিরাপত্তার প্রধান দায়িত্ব পালন করবে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। তাদেরকে সাহায্য করবে গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাবের সদস্যরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে। ইনার কর্ডন, আউটার কর্ডন, রোড ব্যবস্থাপনা, রোফটপ, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ও সাদা পোশাকধারী- এই ছয়টি স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ।
এসএমপি সূত্রে জানা যায়, সিলেট মহানগরীর ছয়টি থানার পুলিশ সদস্য ছাড়াও মহানগরীর বাইরে থেকে জেলা পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্যকে নিরাপত্তা কাজের জন্য নিয়ে আসা হবে। সবমিলিয়ে পাঁচ সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য পুরো সিলেটজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে। তবে পুলিশের মূল নজর থাকবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল, মদন মোহন কলেজের অনুষ্ঠানস্থল, তাঁর যাত্রাপথ এবং আশপাশের এলাকা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার স্বার্থে নগরীর বিভিন্ন হোটেল, গেস্ট হাউস, মেস এবং বাসা-বাড়ির দিকেও নজর রাখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলের আশপাশের সকল ভবনে বিশেষ নজরদারি রাখা হবে। এসব ভবনের ছাদে সশস্ত্র পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রী আসবেন বৃহস্পতিবার, তার আগের দিন থেকেই তাঁর অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশের ভবনগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেবে পুলিশ।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সিলেট আগমনের দিন মহানগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে। সন্দেহভাজনদের করা হবে তল্লাশি। জনসভাস্থলে আগত জনতার সাথে মিশে গিয়ে কাজ করবেন সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা।
নিরাপত্তার বিষয়ে র্যাব-৯ এর সহকারি পরিচালক এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে নিরাপত্তার মূল দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ। তাদের সহযোগি হিসেবে মাঠে থাকবে র্যাব। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। এসএসএফ’র নির্দেশনা অনুসারে র্যাব কাজ করবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সামান্যতম ছাড়ও দেয়া হবে না। তাঁর সফর নির্বিঘœ করতে যা যা করা দরকার, তার সবই করবে পুলিশ। ইতোমধ্যেই পুলিশ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসএসএফ’র সাথেও বৈঠক হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিন কতো সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্য মাঠে থাকবেন, ‘কৌশলগত কারণে’ তার প্রকাশ করতে রাজি হননি রহমত উল্লাহ ও তানভীর আরাফাত।
সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য সিলেট এখন প্রস্তুত। সবধরনের আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়ে নুন্যতম ছাড় দেয়া হবে না।
. . . . . . . . .