বগুড়া বিএনপিকে ‘খুশি’ করলো জামায়াত
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জানুয়ারি ২০১৬, ৯:১৯ অপরাহ্ণমেয়রে কান্না, কাউন্সিলরে হাসি
বগুড়ার নয়টি পৌরসভায় মেয়র পদে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল লাভে ব্যর্থ হলেও কাউন্সিলর পদে এগিয়ে গেছে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির প্রার্থীরা। নয় পৌরসভার ৯৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৬টিতেই বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। আর ৪০টিতে মাত্র জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। বাকি ৭টিতে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
ছয়টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগকে টপকে গেছে ২০ দলীয় জোট। আর এসবই হয়েছে জামায়াতের প্রার্থীদের বিজয়ের কারণে। তবে শুধুমাত্র দুটি পৌরসভার ছয়টি ওয়ার্ড থেকেই বিজয়ী হয়েছেন জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। এর মধ্যে বগুড়া পৌরসভায় চারজন আর কাহালু পৌরসভায় দুজন।
জামায়াতের বিজয়ীদের মধ্যে বগুড়া পৌরসভার ১৯নং ওয়ার্ডে ওসমান গণি পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ১০১ ভোট। ২১নং ওয়ার্ডের রুহুল কুদ্দুস ডিলু পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বাবু পেয়েছেন ২ হাজার ৬০১ ভোট।
পাশাপাশি বগুড়া পৌরসভার ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর (নারী) পদে বিজয়ী হয়েছেন জামায়াতের শিরিন আক্তার। এছাড়া কাহালু পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন জামায়াতের হাফেজ সাইফুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ডে আব্দুল কুদ্দুস এবং ৮নং ওয়ার্ডে আবু হাসানাত মো. এরশাদ তুহিন।
সূত্রমতে, ৩১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে বগুড়ায় জামায়াতের একমাত্র বিজয়ী শিরিন আক্তার ছাড়াও বাকি ১১ জন বিজয়ী বিএনপির। নারী কাউন্সিলর পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে জয় পেয়েছেন ১০ জন। বাকি ৯ জন স্বতন্ত্র।
তথ্যমতে, শুধুমাত্র বগুড়া পৌরসভায় ২১টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ১০ জন, বিএনপির ৮ জন, জামায়াতের দুজন এবং স্বতন্ত্র একজন নির্বাচিত হয়েছেন। শিবগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ৫ জন, বিএনপির ৩ জন এবং একজন। গাবতলী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের একজন, বিএনপির ৭ জন ও স্বতন্ত্র একজন।
সান্তাহার পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ৪ জন, বিএনপির ৫ জন। শেরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ৩ জন, বিএনপির ৫ জন এবং স্বতন্ত্র একজন। ধুনট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ৪ জন, বিএনপির ২ জন এবং স্বতন্ত্র ৩ জন।
নন্দীগ্রাম পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ৫ জন, বিএনপির ৪ জন। কাহালু পৌরসভায় আওয়ামী লীগের কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী জয়লাভ করেননি। এখানে বিএনপির ০৫ জন, জামায়াতের ৩ জন ও স্বতন্ত্র হিসেবে একজন নির্বাচিত হয়েছেন। সারিয়াকান্দি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ৮ জন ও বিএনপির একজন মাত্র নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, মেয়র পদে বগুড়ার নয়টি পৌরসভার মধ্যে চারটিতে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনটিতে মাত্র জয় পেয়েছে বিএনপি প্রার্থীরা। তবে দুটি পৌরসভায় বিদ্রোহীরা নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন বিএনপির আরেকজন আওয়ামী লীগের।
. . . . . . . . .