বিদ্রোহী প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ: হবিগঞ্জ তুষের আগুনে পুড়ছে আ’লীগ-বিএনপি

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ১১:০৪ পূর্বাহ্ণহবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তুষের আগুনে পুড়ছে জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা বিএনপি। উভয় দলই ব্যর্থ হয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী রুখতে। কাগজে-কলমে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও স্থানীয় অনেক নেতাই করছেন এর বিরোধীতা। স্বতন্ত্র হিসেবে করেছেন মনোনয়নপত্র দাখিল। হয়েছেন ‘বিদ্রোহী প্রাথী’, সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। এ অবস্থায় চরম অস্বস্তি ও বিপাকে পড়েছেন মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্ব-স্ব দলের ত্যাগী নেতারা। তবে এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ বিএনপিকে টপকে সফলতা দেখিয়েছে জেলা জাতীয় পার্টি।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে ৮ প্রার্থী তাদের মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এরা হলেন- আলহাজ্ব জি কে গউছ, আতাউর রহমান সেলিম, আমিনুর রশীদ এমরান, ইসলাম তরফদার তনু, মিজানুর রহমান মিজান, এডভোকেট শিবলী খায়ের, আব্দুল কাইয়ুম ও আব্দুল কাদির। এদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছকে একক প্রার্থী হিসেবে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে বিএনপি। অপরদিকে, আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। এছাড়াও জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট শিবলী খায়ের, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আব্দুল কাইয়ুম এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি নেতা আব্দুল কাদির। কিন্তু একক প্রার্থী ঘোষণা সত্ত্বেও জেলা বিএনপির দুই প্রভাবশালী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র হিসেবে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি। একইভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজান। এ অবস্থায় তুষের অনলে পুড়ছে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা রয়েছেন চরম অস্বস্থি ও বিপাকে। তবে এক্ষেত্রে বিএনপি ও আওয়ামীলীগকে টপকে সফলতা দেখিয়েছে দেশের আরেক বৃহৎ দল জাতীয় পার্টি।
জেলা কমিটিতে বিভক্তি থাকা সত্ত্বেও দলীয় বৃহত্তর স্বার্থে দৃঢ়তার প্রমান দিয়েছে তারা। এদিকে, আওয়ামীলীগ-বিএনপির এই হ-য-ব-র-ল অবস্থায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি বড় দুই দলের সাংগঠনিক দূর্বলতারই বহিঃপ্রকাশ। যদিও উভয় দলের অনেক সিনিয়র নেতাই আশা প্রকাশ করছেন শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না। প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যেই সবকিছু হবে পরিষ্কার। কিন্তু বিষয়টি অত সহজে সুরাহা হবে না বলে আশংকা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
. . . . . . . . .