রাবির ডাইনিংয়ে পচা খাবার, বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণহলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনে পচা আলুর স্তুপ পড়ে আছে। সেখান থেকেই শিক্ষার্থীদের খাওয়ানোর জন্য রান্না করা হচ্ছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমির আলী হলের চিত্র এটি। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ সময় হল প্রশাসন এবং ডাইনিং, ক্যান্টিনের মালিকদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাসেল কবির বাংলামেইলকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ডাইনিংয়ের মালিক হাসেম এবং ক্যান্টিনের মালিক কাসেম আমাদের এ ধরনের পচা খাবার খাওয়াচ্ছেন। কিছুদিন ধরে শুধুই পচা পেঁপে খাওয়ানো হয়। হলের সুপারভাইজাকে বিষয়টি জানালে তিনি দেখবেন বলে জানান। আজ সকালে ডাইনিংয়ের একজন কর্মচারী পচা আলুর বিষয়টি আমাকে জানান। বিষয়টি জানাজানি হলে ডাইনিং ও ক্যান্টিংয়ের মালিক সটকে পড়েন।
আবাসিক শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করে বলেন, ডাইনিং এবং ক্যান্টিনে বেশিরভাগ সময়ই বাসি, পচা খাবার খাওয়ানো হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরনের খাবার খেয়ে এই হলের শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার মাত্রা প্রতিদিন বাড়ছে। তবে এ ঘটনায় মালিক হাসেম ও কাসেম ছাড়া অন্য কোনো কর্মচারী দায়ি নয় বলেও শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডাইনিংয়ের একজন কর্মচারির অভিযোগ, কয়েকশ শিক্ষার্থীর খাবার রান্নার জন্য তাকে মাত্র দেড় কেজি তেল দেয়া হয়। যা একেবারেই অল্প। ‘পচা সবজি কিনতে হাসিম ভাইকে নিষেধ করা হলে তিনি উল্টো গরম দেখান’ বলে অভিযোগ তার। ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডাইনিং এবং ক্যান্টিনের দুই মালিকেই ফোন করা হলে তারা কেউই ফোন ধরেননি।
হল প্রাধ্যক্ষের অবর্তমানে হল শিক্ষক এসএম মোকলেসুর রহমান শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘অবশ্যই এ ধরনের খাবার পরিবেশন বন্ধ করা হবে। শনিবারেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ সময় আবাসিক শিক্ষার্থীরা ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে তারাই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে হুশিয়ারি দেন। তারা আরো বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হলে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য হল কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাইরে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
. . . . . . . . .