শেবাচিম ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ছাত্ররাজনীতি স্থগিত
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ নভেম্বর ২০১৫, ৬:২৪ অপরাহ্ণবরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে (শেবাচিম) সব রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সোমবার রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শেবাচিম একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে ক্যাম্পাসে সৃষ্ট পরিস্থিত খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার শেবাচিম অধ্যক্ষ ড. ভাস্কর সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বেলা সাড়ে ১২টায় প্রথম দফা ও দুপুর দুটার দিকে দ্বিতীয় দফায় একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে, ক্যাম্পাস সূত্রমতে, একাডেমিক কাউন্সিলের সভা চলাকালে দুপুর একটার দিকে পদবঞ্চিত গ্রুপের এক কর্মীর ওপর হামলা করেছেন শেবচিম শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আহত কর্মীকে উদ্ধার করে। একই সময় ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমানকে মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়েছে।
যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শেবাচিমে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের আহত হয় অন্তত ১০ নেতাকর্মী। খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মেডিসিন ক্লাবের ১৮তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন উপলক্ষে সোমবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের অনুসারী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তুহিনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে ওই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের অপর গ্রুপটিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাদিক অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা অনুপ সরকার, মামুন, হিমেল, সাবা ও রাজুসহ ১০ থেকে ১২ জন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি বানচাল করতে ধারালো রামদা, লাঠি-সোটা নিয়ে অবস্থান নেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জসিম অনুসারীরাও পাল্টা-পাল্টি অবস্থান নিলে উভয় গ্রুপে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন।
. . . . . . . . .