আইডিয়াল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনীর
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ নভেম্বর ২০১৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণযুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর হওয়ার পর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদকে ফরিদপুরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হবে।
এমন খবর পেয়ে আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নিয়েছিল জামায়াত-শিবিরের ফরিদপুরের শীর্ষ নেতাকর্মী ও ফরিদপুরের স্বজনরা।
কিন্তু রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মুজাহিদের বাবা আবদুল আলীর নামে সড়কে অবস্থান নেওয়া সবাইকে সরিয়ে দিয়েছেন। এবং মাদ্রাসা প্রাঙ্গণের চারশ গজের মধ্যে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ফাঁসি কার্যকর করার পর কারা অ্যাম্বুলেন্সে করে মুজাহিদের মরদেহ ফরিদপুরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় অবস্থতি আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আনা হবে।
নিরাপত্তার জন্য ওই এলাকায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য, আমর্ড পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে মুজাহিদের বাড়ি ও আশেপাশের এলাকায়।
এর আগে মুজাহিদের বড় ভাই জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আলী আফজাল মোহম্মদ খালেছ বাংলানিউজকে বলেছিলেন, আমার তিন ভাই আলী ইকবাল মোহম্মদ তৌফিক, আলী আজম মোহম্মদ রেজওয়ান, আলী আশরাফ মোহম্মদ শোয়ায়েব ও মা নুর জাহান খানমের কবর ফরিদপুর আলীপুর কবরস্থানে।
তিনি বলেন, ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হলে তাকে ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তিন ভাই ও মায়ের কবরের আশে পাশেই মুজাহিদকে দাফন করার ইচ্ছা ছিল। তবে সেখানে অনুমতি না মেলায় ওই মাদ্রাসায় তাকে দাফন করা হতে পারে।
এদিকে ফাঁসির রায় কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
রাত ৮টার পর মুজাহিদের বাড়ি ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহর জুড়ে র্যাব টহল দিচ্ছে। এর বাইরে সাদা পোশাকেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা জোরদারে মাঠে রয়েছে।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
. . . . . . . . .