রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে তল্লাশি চৌকিতে শনিবার সকাল সোয়া ১১টার পুলিশ আটকাল একটি অটোরিকশাকে।
কিছুটা হট্টগোল শুনে সেখানে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনা জানতে চাইলে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা অপূর্ব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভাই, আপনি কত পার্সেন্ট সাংবাদিক?”
এই প্রশ্নের কারণ জানতে চাইলে আটকানো সিএনজি অটোরিকশাটি দেখিয়ে দেন তিনি, সেখানে লাল রঙের ব্যানারে লেখা- ‘সাংবাদিক ১০০%”।
সাংবাদিক না হয়েও এভাবে ‘প্রেস’ লিখে গাড়ি চালানোর নজির বহু।
গণমাধ্যমের গাড়িতে প্রেস কিংবা সাংবাদিক লেখা থাকে। তার সুযোগ নিয়ে অনেক ভুয়া গাড়িতে এভাবে তা লিখে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে অপরাধের নজিরও আগে বহুবার উঠে এসেছে।
এএসআই অপূর্ব বলেন, “এভাবে ভুয়া সাংবাদিকরা আপনাদের মান-সম্মান মারছে। তাই মালিক খুঁজতেছি।”
নিজের নাম জসিম জানিয়ে ওই অটোরিকশা চালক বলেন, গাড়িটি প্রাইম নিউজের। তবে তিনি সাধারণ যাত্রী পরিবহন করছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, “এই গাড়িটি নারায়ণগঞ্জের, ঢাকায় ঢোকার অনুমতি নেই। তবে সাংবাদিকতার কাজে এলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু সে তো ভাড়া মারছিল।”
রুট পারমিট না থাকায় অটোরিকশাটিকে আটক করা হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
. . . . . . . . .