জাহাঙ্গীরের জ্যান্ত সাপ-ব্যাঙ খাওয়ার কাণ্ড…

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ নভেম্বর ২০১৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ণঅনুপ্রেরণা ডিসকভারি চ্যানেল

এই দুঃসাধ্য কাজগুলো দেখতে প্রতিদিন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী উৎসুক মানুষের ঢল নামছে তার বাড়িতে।
জাহাঙ্গীরের স্বপ্ন, কোনো টেলিভিশন চ্যানেল তাকে সহযোগিতা করলে আগামীতে তিনি দেশের দূর্গম অঞ্চলে গিয়ে বিয়ার গ্রিলের মতো ( চ্যানেল ডিসকভারিতে দূর্গম ভ্রমণ বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ) অনুষ্ঠান নির্মাণ করবেন।
জাহাঙ্গীর আলম জয়পুরহাট সরকারি কলেজের স্নাতক (বিএ) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং জেলা শহরের আরাফাত নগরের ঈদগাহ কলোনির বাসিন্দা পুলিশ সদস্য শফিকুল ইসলামের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর ছোটবেলা থেকেই খুব ডানপিটে স্বভাবের। একই সঙ্গে দুর্দান্ত সাহসীও। খেলাধুলা কিংবা লেখাপড়ায় তেমন একটা মনোযোগ ছিল না তার। সারাদিন তার দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকতো ডিসকভারি চ্যানেলের দিকে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, ডিসকভারি চ্যানেলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দূর্গম এলাকা ভ্রমণ ও নিজের জীবন বাঁচাতে ও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার বিষয়গুলি সে জানতে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সেসব ঘটনার মতোই সে জ্যান্ত প্রাণীর কাঁচা মাংস চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রপ্ত করতে থাকে। পাশাপাশি সে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য বিভিন্ন গাছ, ভবন ও উঁচু স্থান থেকে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। এসব দুঃসাধ্য কাজ করার কৌশলও রপ্ত করে।
প্রথমদিকে পারিবারিকভাবে বিপজ্জনক এসব কাজে তাকে বাধা দিলেও পরবর্তীতে ভালো দিক বিবেচনা করে পরিবারের সদস্যরা তাকে নানাভাবে উৎসাহ দিতে ও সহযোগিতা করতে থাকে।
প্রতিবেশি শামীম, লোপা, তানিয়া, জিল্লুর ও আকতারসহ অনেকেই বাংলামেইলকে জানান, জাহাঙ্গীরের এসব কর্মকাণ্ডে প্রথম দিকে আমাদের বিরক্ত লাগতো। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি সে ঠিক কাজটাই করছে। প্রকৃতপক্ষে সে সৃজনশীল চেতনার ভ্রমণ পিপাসু তরুণ।
দুঃসাহী তরুণ জাহাঙ্গীর আলম বাংলামেইলকে জানান, তার প্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল ডিসকভারিতে নিয়মিত প্রচার হওয়া ভ্রমণ বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক বিয়ার গ্রিলের অনুকরণে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করছেন। কোনো টেলিভিশন চ্যানেল যদি তাকে সহযোগিতা করে তাহলে আগামীতে দেশের দূর্গম অঞ্চলগুলোতে গিয়ে বিয়ার গ্রিলের মত অনুষ্ঠান নির্মাণ করার ইচ্ছা রয়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি ক্রিয়েটিভ টেলিভিশন চ্যানেল আই-এর প্রতি রয়েছে তার ভীষণ দুর্বলতা।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিউল কাফী বাংলামেইলকে বলেন, প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলার জন্য এরকম অভ্যাস গড়ে তোলা দোষের কিছু নয়। তবে বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটি অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ। আর বিচিত্রও বটে।
জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. এসএম আব্দুল জলিল বাংলামেইলকে বলেন, প্রতিকূল পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে চলতে জাহাঙ্গীরের এ অভ্যাস অন্যকেও অনপ্রেরণা জোগাবে।
. . . . . . . . .