এবার ইউপি চেয়ারম্যানকে পেটালেন উপমন্ত্রী জয়
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ নভেম্বর ২০১৫, ৯:২৫ অপরাহ্ণনিজ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কক্ষে ভাঙচুরের রেশ কাটতে না কাটতেই নিজ এলাকা নেত্রকোনার এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে পেটালেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। দলের ইউনিয়ন কমিটি গঠনে পছন্দের প্রার্থীর বিরোধিতা করায় স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ দলীয় নেতাকর্মীদের জয় নিজ হাতে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার নেত্রকোনা সদর উপজেলার কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলেনে এ ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় হাতাহাতি ও সংঘর্ষে পণ্ড হয়ে গেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওই সম্মেলন।
কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, উপমন্ত্রী আমাকে নিজে মেরেছেন। তার চাচাতো ভাই আবুল বাশারকে সভাপতি প্রার্থী করা হয়েছে। সম্মেলনে বাশার ফেল করবেন বলেই এ আক্রমণ।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আশরাফ আলী খান খসরু ঢাকাটাইমসকে বলেন, এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
জানা গেছে, এ ইউনিয়ন উপমন্ত্রীর নিজের এলাকা। তার বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর খান মিঠু। তিনি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে চাইছেন চাচাতো ভাই আবুল বাশারকে। সম্মেলনে কাউন্সিলর তালিকা নিয়ে প্রথম অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণ আগে নুর খান মিঠুর সঙ্গে তর্ক হয় সাবেক সভাপতি আমজাদ চেয়ারম্যানের।
তিনি এককভাবে ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও কাউন্সিলর তালিকা করেছেন বলে অভিযোগ তুলে গালমন্দ করেন আমজাদকে। এ সময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ খান বিমলের সঙ্গেও মিঠুর কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে আরিফ খান জয় ও তার বড় ভাই নুর খান মিঠু অ্যাডভোকেট বিমলকে ধাক্কা দেন। এরপর সভাপতি প্রার্থী আমজাদ চেয়ারম্যানের ওপর চড়াও হন তারা। তাদের কিল-ঘুসি মারেন। এ সময় উপমন্ত্রীর অনুসারীরা সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলকেও মারধর করেন। এ পরিস্থিতিতে উপস্থিত কাউন্সিলররা হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েন এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুর শুরু হয়। একপর্যায়ে নেতারা সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন।
. . . . . . . . .