নূরের মুখেই জানতে চাই খুনের নেপথ্য কাহিনী
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ নভেম্বর ২০১৫, ৯:৪২ পূর্বাহ্ণনারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। একই সঙ্গে তারা নূর হোসেনের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরই যখন রটে যায় রাতেই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে নূর হোসেনকে তখনই নিহতদের পরিবারের সদস্যরা স্বস্তি প্রকাশ করেন।
নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রতিক্রিয়ায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, ‘নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনায় দেশের ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সাত খুনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহানুভুতি পেয়েছি। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। নূর হোসেনকে আনার পর আমরা তার মুখ থেকে শুনতে চাই খুনের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত।’
তিনি বলেন, ‘যে ছয় কোটি টাকা লেনদেনের কথা ওঠেছে সেই টাকা লেনদেনে নূর হোসেন একাই ছিলেন নাকি আরও কেউ ছিলেন সেটাও জানতে চাই। কেন সাতটা মানুষকে এতো নিষ্ঠুরভাবে খুন করা হলো। মামলার পুনরায় তদন্ত করা হোক। পুনরায় তদন্ত করে নূর হোসেনকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হোক।’
নিহত মনিরুজ্জামান স্বপনের ছোট ভাই মিজানুর রহমান রিপন বলেন, ‘নূর হোসেনের টাকায় র্যা ব ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। নূর হোসেনই জানেন তার পেছনে কে কে আছে। আমরা চাই বিচারের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা নারায়ণগঞ্জবাসী তথা সারাদেশের জনগণকে জানতে দেয়া হোক।’
বহুল আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে বৃহস্পতিবার রাতেই বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে তাকে ভারতের দমদম কারাগার থেকে পেট্রাপোল বন্দরের দিকে নিয়ে দেশটির পুলিশ। তাকে গ্রহণ করতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে বেনাপোল বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ খানা পুলিশ।
বেনাপোলে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে নারায়ণগঞ্জ আনার পরদিন তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোড থেকে নাসিক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জনকে অপহরণ করে র্যা ব-১১ এর একটি দল। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল ছয় জন ও ১ মে এক জনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার তদন্ত শেষে র্যাসব-১১ এর সাবেক তিন কর্মকর্তা ও নূর হোসেনসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় তদন্তকারী সংস্থা ডিবি পুলিশ। এর মধ্যে ২২ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন। আর নূর হোসেনসহ ১৩ জন পলাতক। তবে নূর হোসেন ভারতে গ্রেপ্তার হয়ে ওই দেশের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। গত বছরের ১৪ জুন ভারতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাংলামেইল
. . . . . . . . .