সিলেট ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এক বছরেও হয়নি
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ অক্টোবর ২০১৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ণত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেই কমিটি হবে
২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র থেকে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সাইদ আহমদকে সভাপতি, রাহাত চৌধুরী মুন্না সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহসভাপতি আহমেদ চৌধুরী ফয়েজ, সহসভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ সোহেল, যুগ্ম সম্পাদক মকসুদ আহমদ ও মিজানুর রহমান নেছার, সহসাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন পান্না এবং এখলাছুর রহমান মুন্নাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৮ সদস্যবিশিষ্ট জেলা ছাত্রদলের কমিটি ও নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লোকমান, সিনিয়র সহসভাপতি মাহফুজুল করিম জেহীন, সহসভাপতি মো. ফখরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক রুমেল শাহ্ ও আজিজুল হোসেন আজিজ, সহসাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক স্বপন ও আবদুর রকিবকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৮ সদস্যবিশিষ্ট মহানগর ছাত্রদলের কমিটির নাম ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে। ১৫ দিনের সময় দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়া হয়।
কিন্তু কমিটি ঘোষণার পর পরই ঘোষিত কিমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিদ্রোহ ঘোষণা করে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বৃহৎ একটি অংশ। এমনকি ঘোষিত কমিটি জেলা সিনিয়র সহসভাপতি আহমেদ চৌধুরী ফয়েজ, সহসাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন পান্না ও সাংগঠনিক সম্পাদক এখলাছুর রহমান মুন্না, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মাফুজুল করিম জেহীন ও যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল হোসেন আজিজ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বাতিলের দাবি জানিয়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। ওই দিনই ঘোষিত কমিটির সভাপতি সাঈদ আহমদের ওপর হামলা করা হয়।
১৭ অক্টোবর নগরীর চৌহাট্টায় ঘোষিত কমিটির সঙ্গে বিদ্রোহীদের বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেয়া হয়। ছাত্রদলের অভিভাবক সংগঠন বিএনপি বিবদমান কয়েকটি গ্রুপকে নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করলেও কোনো সুফল আসেনি। কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর সন্দেহ আর অবিশ্বাসের কারণে ভেস্তে যায় উদ্যোগ।
গত এক বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি। জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি না হওয়ার ফলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। যে কারনে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কর্মসূচিও সঠিকভাবে পালিত হচ্ছে না। কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কমিটি জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের একটি বৃহৎ অংশ প্রত্যাখ্যান করে নতুন কমিটির দাবি জানিয়ে আসছে। পাশাপাশি কমিটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে।
কমিটির পদবঞ্চিতদের শোডাউন কর্মসূচি ও হামলা-পাল্টাহামলায় উত্তপ্ত ছিল গোটা নগরী। পক্ষ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করেতে বিভিন্ন বাসাবাড়িতেও হামলা করা হয়। বিদ্রোহীদের তোপের মুখে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা অনেকটা বেকায়দায় পড়ে যান। নিজের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিনেও ঘর সামলাতে পারেননি।
মাঠে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দলকে মোকাবেলার চেয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীদের সামলাতেই তারা ব্যস্ত সময় পার করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে দলকে সুসংগঠিত করতে গিয়ে উল্টো একাধিক গ্রুপ-উপগ্রুপ সৃষ্টি হয়। দলের চেয়ে ব্যক্তির আধিপত্য বিস্তার নিয়েই চলছে দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং। ফলে পিছিয়ে পড়েছে দলীয় কর্মকাণ্ড।
অন্দোলন সংগ্রামের কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে একটু সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ । মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ জানান, অভ্যন্তরীণ শৃংখলা রক্ষা করেই একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিশেষ করে যারা আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে রয়েছেন দলের জন্য ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেই কমিটি হবে।
. . . . . . . . .