‘ভুয়া’ বিরোধী দল সরকারের জন্য বোঝা হয়ে উঠছে: বিএনপি
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ অক্টোবর ২০১৫, ১০:০৩ অপরাহ্ণবিএনপির দাবি দশম জাতীয় সংসদে একটি ‘ভুয়া’ বিরোধী দল সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি সংসদীয় রাজনীতিতে একটি বাজে নজির হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করলেন দলটির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রিপন।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ‘বিতর্কিত নির্বাচনের’ মাধ্যমে গঠিত এই সংসদ ভেঙে দিয়ে, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘এই ভুয়া বিরোধী দল রেখে বর্তমান জাতীয় সংসদকে পাঁচ বছর পর্যন্ত টেনে নেওয়ার সংকল্প বুদ্ধিমানের কাজ বলে আমরা মনে করি না। কারণ এই তথাকথিত বিরোধী দলকে যতই সুবিধা দিয়ে হৃষ্ট-পুষ্ট করা হোক না কেন, তারা দেশ-বিদেশে প্রকৃত বিরোধী দল হিসেবে কোনো দিনই স্বীকৃতি পাবে না। সংসদের এই কথিত বিরোধী দল আত্মপরিচয়ের সংকটে নিমজ্জিত। সরকারের জন্য তা এখন ক্রমেই বড় মাপের বোঝা হয়ে উঠছে।’
দশম জাতীয় সংসদ সম্পর্কে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন নিয়ে সংসদের চিফ হুইপসহ সরকারি দলের নেতাদের সমালোচনার জবাব দিতে বিএনপির পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।ৎ
আসাদুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল বিতর্কিত। এটা শুধু বিএনপিই দাবি করেনি। নির্বাচনের পরপরই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মিত্ররাও এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন। টিআইবি দায়িত্ব নিয়েই সে কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। কিন্তু তাঁরা (সরকারি দলের নেতারা) টিআইবির পর্যবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেননি। বরং টিআইবি এ সংসদ নিয়ে সত্য উন্মোচন করায় তাদের বিরোধী দলের এজেন্ট পর্যন্ত বলে অসৌজন্য মন্তব্য করা হয়েছে। বিএনপি এর নিন্দা জানাচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি, সত্য যতই কঠিন হোক না কেন, সরকারের উচিত হবে প্রকৃত বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া এবং দশম জাতীয় সংসদ ও তার নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশের পর্যবেক্ষণগুলো মেনে নিয়ে সেই সংকট থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা।’
এ লক্ষ্যে সকল বিরোধী দল ও বিশিষ্ট নাগরিক সমাজের সঙ্গে একটি সংলাপ প্রক্রিয়া সূচনা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রিপন দশম জাতীয় সংসদ নিয়ে টিআইবির পর্যবেক্ষণকে ‘কিঞ্চিৎ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘যখনই টিআইবি সরকারের সমালোচনা করে, তখনই তাদের আয়ের উৎস নিয়ে তদন্ত দাবি করা হয়। সরকারে তো তাঁরাই আছেন তাহলে তদন্ত করছেন না কেন?’
আসাদুজ্জামান রিপন সংসদে না থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন দল ও তাঁর মিত্রদের বিএনপির সমালোচনায় মুখর থাকার ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত’ ও ‘অসংসদীয়’ বলে মন্তব্য করেন।
. . . . . . . . .