সোর্স রুবেলের ‘কারণে’ ঘাষিটুলা-কলাপাড়ায় ‘অস্থিরতা’
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ অক্টোবর ২০১৫, ৫:০৮ অপরাহ্ণসিলেটে কথিত সোর্স রুবেলের সঙ্গে কোতোয়ালি থানার কিছু পুলিশের সখ্যতার ‘কারণে’ নগরীর ঘাষিটুলা ও কলাপাড়া এলাকায় ‘অস্থিরতা’ বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিলেটের পুলিশ কমিশনার ও সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে এ অভিযোগ করেছেন এলাকার দেড় শতাধিক বাসিন্দা। স্মারকলিপিতে তারা অভিযোগ করেন, ‘পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে কথিত সোর্স রুবেল এলাকায় মাদক, অসামাজিক কাজ, মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে। তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন এলাকার মানুষ। অনেকেই তার হাতে হন নির্যাতিত। এ কারণে গত ৪ অক্টোবর স্থানীয় লোকজন ঘাষিটুলা এলাকায় তাকে গণপিটুনি দেয়।
শতাধিক মানুষের হাতে গণপিটুনি খেলেও পরে এলাকার ৭ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করে সে।’ ‘আর ‘অজ্ঞাত আসামি’ হিসেবে অনেককেই মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে। পরে গত ১১ অক্টোবর এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করলে পুলিশ নিয়ে সেখানেও মহড়া দেয় রুবেল। মানববন্ধনের শেষ পর্যায়ে গ্রেফতার করা হয় এলাকার প্রবীণ মুরব্বী আছাব আলী ও রকিব নামে দুইজনকে। পরে টাকার বিনিময়ে সে রকিবকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়।’
স্মারকলিপিতে তারা অভিযোগ করেন, ‘রুবেলের সনাক্ত মত যাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে তারা মামলার আসামি ছিলেন না। হয়রানির উদ্দেশ্যেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।’ তারা অভিযোগ করেন, ‘রুবেল এখন তার মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে এলাকায় অস্থির করে তুলেছে।’ ‘কোতোয়ালি থানার মাঠ পর্যায়ের কিছু পুলিশের সহযোগিতার কারণে তার কাছে এলাকার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছেন’ বলে দাবি করেন এলাকাবাসী। এ কারণে রুবেলের অপকর্ম থেকে রেহাই পেতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্মারকলিপিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন এলাকার প্রবীন মুরব্বী আছাব আলী, মঈন উদ্দিন, তায়েফ হাসান, মো. মনির মিয়া, সাবেক কাউন্সিলর রুহেনা খানম মুক্তা, মো, সাহাব উদ্দিন, জালাল উদ্দিন শাহাবুল, আজাদ উদ্দিন, সাবেক মেম্বার মোস্তফা কামাল, আব্দুর রহিম, ফিরোজ মিয়া, জালাল উদ্দিন, সফিক আহমদ, আনছার মিয়া, সুয়েল আহমদ প্রমুখ।
. . . . . . . . .