সাক্ষীদের মুখে অপরাধের বিবরণ শুনলো কামরুল
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ অক্টোবর ২০১৫, ১১:৩০ অপরাহ্ণনিজস্ব প্রতিবেদক::
নিজে হাজির না থাকায় পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন জানিয়েছিলেন রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামী কামরুল ইসলাম। বুধবার ১১ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহন করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা। আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষীরা রাজন হত্যার জন্য কামরুলকেই দায়ী করে তার নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন।
বুধবার দুপুর ১২ টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ১১ সাক্ষীকে জেরা করেন আইনজীবীরা। ২৫ অক্টোবর এইমামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ মাসেই রায় হতে পারে আলোচিত এই হত্যার।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী এডভোকেট শওকত হোসেন চৌধুরী বলেন, পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ করায় ভালো হয়েছে। আজ সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হয়ে কামরুলকে সনাক্ত করেছেন। এবং রাজনকে হত্যার জন্য তাকেই দায়ী করেছেন। ভিডিওচিত্রেও কামরুল রাজনকে মারধর করতে দেখা গেছে বলে আদালতে বলেছেন সাক্ষীরা।
মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতেই পুনঃসাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
পুনঃসাক্ষ্য প্রদানকারীরা হলেন, বিচারক সাহেদুল করিম, বিচারক আনোয়ারুল হক ও জালালাবাদ থানার ওসি আখতার হোসেন এসআই (বরখাস্তকৃত) আমিনুল ইসলাম, রাজনের বাবা আজিজুর রহমান, মা লুবনা বেগম, আল আমিন, ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, বেলাল আহমদ, কোরবান আলী, আফতাব মিয়া।
১ থেকে ১৮ অক্টোবর রাজন হত্যা মামলা ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন করেন আদালত। ১ থেকে ১৫ অক্টোবর ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যন্ত পলাতক ছিল কামরুল। ১৫ অক্টোবর সৌদি থেকে ফিরিয়ে এনে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৬ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ১৮ অক্টোবর মামলার শেষ সাক্ষ্যগ্রণের দিন প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির করা হয় কামরুলকে।
ওইদিন কামরুলের আইনজীবী তার (কামরুলের) উপস্থিতিতে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করেন। আদালত এই আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে ২ অক্টোবর আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন কামরুলের আইনজীবী ১৫ সাক্ষীকে জেরা করার পুনঃআবেদন করেন। বিচারক ১১ সাক্ষীকে জেরার অনুমতি দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। হত্যার পরই সৌদিতে পালিয়ে যায় প্রধান আসামি কামরুল।
এই মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার কাজ চলছে। তবে কামরুলের ভাই শামীম আহমদ ও দিরাইর জাকির হোসেন পাভেল ওরফে রাজু এখনও পলাতক রয়েছে।
. . . . . . . . .