রাজন হত্যা: ১১ সাক্ষীর জেরা সম্পন্ন, ২৫ অক্টোবর আসামি বাছাই
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ অক্টোবর ২০১৫, ৫:৫৪ অপরাহ্ণসিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় ১১ সাক্ষীর পুনঃসাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও আদালত আগামী ২৫ অক্টোবর রাজন হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন, আসামি যাচাইবাছাই ও সাফাই সাক্ষীর জেরার তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলে জানিয়েছেন মহানগর জজ আদালতের পিপি মফুর আলী।
রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট শওকত চৌধুরী বাংলামেইলকে জানিয়েছেন, মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত আজ বুধবার তাদের পুনঃসাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীদের জেরা করেন।
তিনি জানান, আজ আদালতে জালালাবাদ থানার এসআই (বরখাস্তকৃত) আমিনুল ইসলাম, রাজনের বাবা আজিজুর রহমান, মা লুবনা বেগম, আল আমিন, ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, বেলাল আহমদ, কোরবান আলী, আফতাব মিয়া, বিচারক সাহেদুল করিম, বিচারক আনোয়ারুল হক ও জালালাবাদ থানার ওসি আখতার হোসেনের পুনঃসাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর রাজন হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কাজ শেষ হয়। তবে ওইদিন বিকেলে সৌদি থেকে প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে দেশে ফেরানোর পর গত রোববার (১৮ অক্টোবর) তাকে প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে কামরুল সাক্ষীদের পুনঃসাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন জানায়।
তবে আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা ওইদিন তার আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার ফের কামরুলের আইনজীবী আদালতে ১৫ সাক্ষীর পুনঃসাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন জানান। তার মধ্যে বিচারক ১১ সাক্ষীর পুনঃসাক্ষ্যগ্রহণের নির্দেশ দেন।
গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় রাজন হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের কাজ। এরপর ৪, ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৮ অক্টোবর মোট ৩৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে রাজন হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ২৪ আগস্ট চার্জশিট আমলে নেন।
পরদিন ২৫ আগস্ট পলাতক কামরুল ও শামীমের মালামাল ক্রোক করে নগরীর জালালাবাদ থানা পুলিশ। গত ৩১ আগস্ট রাজন হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি পলাতক কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ ও আরেক হোতা পাভেলকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজন হত্যা মামলা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হস্তান্তর করা হয়। ১৫ অক্টোবর রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি সৌদিতে পলাতক কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।
. . . . . . . . .