রাজন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন, ২৫ অক্টোবর মামলার যুক্তিতর্ক
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ অক্টোবর ২০১৫, ১০:৪৯ অপরাহ্ণশিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সর্বশেষ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আলোচিত এই মামলায় মোট ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা রাজন হত্যা মামলার শেষ সাক্ষী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদারের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সুরঞ্জিত আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার বিচারক আধা ঘণ্টার জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন।
পরে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিট পর্যন্ত আদালতে ফের সাক্ষ্য দেন সুরঞ্জিত তালুকদার।
রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী শওকত চৌধুরী জানান, মোট ৩৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও অন্য দুই সাক্ষী আদালতে হাজির হননি।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি মফুর আলী জানিয়েছেন, আদালতে কামরুল ইসলামের আইনজীবী পুনঃসাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন জানান। তবে আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন।
তিনি জানান, আগামী ২০ অক্টোবর রাজন্য হত্যা মামলার সাক্ষী ও আসামি যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হবে। ২৫ অক্টোবর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলবে।
আদালতের কার্যক্রম শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় যখন কামরুলসহ অন্য আসামীদের সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়-তখনও জনতা বিক্ষোভ করে। এ সময় রাজনের নিজ গ্রাম বাদেআলী গ্রামের লোকজন ছাড়াও তার বাবা শেখ আজিজুর রহমান, মা লুবনা বেগম ও ছোট ভাই সাজন উপস্থিত ছিল। এ সময় তারা আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে শ্লোগান দেয়।
সৌদি আরব থেকে বৃহস্পতিবার কামরুলকে আনার পর রোববার প্রথম আদালতে হাজির করা হয়।
চাঞ্চল্যকর মামলার আসামীরা হলেন-জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের পুত্র কামরুল ইসলাম (২৪), তার ভাই মুহিত আলম ওরফে মুহিত (৩২), শামীম আলম (২০), জাকির হোসেন পাভেল (১৮), আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪), চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না (৪৫), জালালাবাদ থানার টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের পুত্র ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নুর মিয়া (২০), দুলাল আহমদ (৩০), আয়াজ আলী (৪৫), তাজ উদ্দিন বাদল (২৮), ফিরোজ মিয়া (৫০), আছমত আলী (৪২) ও রুহুল আমিন (২৫)। এর মধ্যে শামীম ও পাভেল বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। বাকি ১১ আসামী আদালতের কাঠ গড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর মামলার চার্জশিট আমলে নেন আদালত। ১ অক্টোবর থেকে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
. . . . . . . . .