ছাত্রলীগের পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য, নতুন দ্বন্দের আভাস

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ অক্টোবর ২০১৫, ১০:৩১ পূর্বাহ্ণগঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করেছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী ।মুঠোফোনে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল বাছিত রুম্মান ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম তুষার। তারা আরো জানান, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ মহানগরের ইউনিট জেনেও তারা এই অনুমোদন দিয়েছে, অতীতেও এমসি কলেজ ও সরকারি কলেজ মহানগর ছাত্রলীগই অনুমোদন দিয়ে আসছে। এখানে সদর বলতে কিছু নেই । কমিটির অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে কল দিলেও তারা আমাদের কল রিসিভ করেন নি। এজন্য বিষয়টি কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করা হবে।
অপরদিকে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী জানান, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের আওতায় পরে সদর ছাত্রলীগ, তাই তারা এ বিষয়ে কেন্দ্রকে অবহিত করেই তারা সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। তারা আরো জানান, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পূর্বের কমিটি জেলা ছাত্রলীগের অনুমোদিত ছিলো। তাই এবারও জেলা ছাত্রলীগ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
এদিকে পাল্টা-পাল্টি এই বক্তব্যে সিলেট ছাত্রলীগের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন দ্বন্দ। নতুন কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনার পর কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার রাতে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করা হয়। কমিটির সভাপতি পদে নির্মলেন্দু পাল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মাহিন নূর ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয় এক বছরের জন্য।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, কমিটিতে শীর্ষ পদ বঞ্চিতদের অনুসারীরা এবং নতুন কমিটির অনুসারীরা আলাদাভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল বরে করে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। এসময় কমিটিকে প্রত্যাখান করে মিছিল বের করতে চায় কমিটি প্রত্যাখানকারীরা । এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ ক্যাম্পাসে সশস্ত্র অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে শাহপরান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় এনিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, কমিটি ঘোষণা নিয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রকরে।
. . . . . . . . .