তিনবন্ধু ধর্ষণ করল তিন বান্ধবীকে
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০১৬, ৯:২৭ অপরাহ্ণএকইসাথে তিনবন্ধু তিন বান্ধবীকে ধর্ষণ করেছে। এক ধর্ষিতার পিতা এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ তিন ধর্ষককে আটক করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতাউর রহমান নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে চিলমারী উপজেলার কড়াই বরিশাল গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে আবু বক্করের সাথে। বক্কর ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করে।”
তিনি আরো বলেন, “কর্মস্থল সূত্রে বক্করের সাথে সখ্য হয় ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার গহরবাজাই গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র রাজিব মিয়া (২৫) ও রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার রহমতপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের পুত্র মিজানুর রহমানের (২৪) সাথে। এরপর বক্করের প্রেমিকার দুই বান্ধবীর সাথে রাজিব ও মিজানুরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।”
এসআই বলেন, “শুক্রবার তিনবন্ধু ঢাকা থেকে রাজিবপুরে এসে বিকেলে মোবাইলের মাধ্যমে তিন বান্ধবীকে ডেকে বটতলা এলাকায় আসে। এরপর কথা বলতে বলতে তিন কিশোরীকে নিয়ে তারা নির্জন মাধবের চরে চলে যায়। সন্ধ্যায় বিয়ে ও রাতের গাড়িতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ধর্ষণ করে।”
আতাউর রহমান আরো বলেন, “রাতে তিন কিশোরী রাজিবপুর বাসষ্ট্যান্ডের কাছে অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু প্রতারকরা এরই মধ্যে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাদেরকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। রাত ১০টার দিকে পুলিশ তিন কিশোরীকে উদ্ধার করে।”
তাদের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে পুলিশ ঢাকার পথে যাত্রীবাহী একটি বাস থেকে ধর্ষক মিজানুর, রাজিব ও আবু বক্করকে গ্রেফতার করে। ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। সোমবার অভিযুক্ত তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
সোমবার তিন কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নজরুল ইসলাম কিশোরীদের ধর্ষণের আলামত পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
. . . . . . . . .