সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান হত্যার রায় ৭ জানুয়ারি
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলার রায় আগামী ৭ জানুয়ারি ঘোষণা করবেন আদালত।
রোববার (৩০ নভেম্বর) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বদরুল ইসলাম।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বদরুল ইসলাম বলেন, আজ আদালতে কারাবন্দি আসামি বহিষ্কৃত এএসআই আশেক এলাহির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এর আগে ২৬ নভেম্বর মামলার পলাতক থাকা পাঁচ আসামির যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়। সবশেষে আদালত আগামী ৭ জানুয়ারি রায়হান হত্যার রায় ঘোষণা করবেন বলে রায় দেন।
এদিকে মামলার অন্য আসামিদের বেশির ভাগই জামিনে পলাতক। এদের মধ্যে প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হলেও পরবর্তীতে তাঁর জামিন স্থগিত করা হয় এবং ১০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তিনি আদালতে হাজির না হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে রায়হানকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরদিন সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। পরিবারের দাবি ছিল—পুলিশি নির্যাতনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রীর করা মামলায় গঠিত তদন্ত কমিটি নির্যাতনের সত্যতা পায়। এরপর এসআই আকবরসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে পিবিআই তদন্ত করে মামলায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় ২০২১ সালের ৫ মে।
অভিযুক্তরা হলেন ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, এসআই হাসান উদ্দিন এবং সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান।
মোট ৬৯ সাক্ষীর মধ্যে ৬৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। চার বছর পর এখন রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন রায়হানের পরিবার ও সিলেটবাসী। আদালত আগামী ৭ জানুয়ারি চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবেন।
সিলেট/আবির





