সিলেট সেনানিবাসে মর্যাদাপূর্ণ আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৭ অপরাহ্ণ
সিলেট সেনানিবাসে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে যথাযোগ্য মর্যাদা, গভীর শ্রদ্ধা ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো মহান সশস্ত্র বাহিনী দিবস। এ উপলক্ষে সিলেট সেনানিবাসে বর্ণাঢ্য মনোমুগ্ধকর একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান, এডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ২১ নভেম্বর জাতির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন।১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিকে ত্বরান্বিত করতে সম্মিলিত আক্রমণ সূচিত হয়।ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ-বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো উন্নয়ন, আর্তমানবতার সেবা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন,জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার মাধ্যমে দেশের সার্বিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আরও উজ্জ্বল করেছেন।পাশাপাশি বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি-সজ্জিত, শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সর্বদা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।বিভিন্ন দেশগঠনমূলক কর্মকান্ডে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান তিনি তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের বন্যা, কোভিড–১৯ সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ধর্মীয় উৎসবেও সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি মুক্তিযুদ্ধে সিলেট অঞ্চলের মানুষের অসীম সাহসিকতা, বীরত্ব এবং অবদানের বিশেষ প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে সিলেট অঞ্চলের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল গণ্যমান্য অতিথিদেরকে অভ্যর্থনা জানান জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (১৭ পদাতিক ডিভিশন) ও এরিয়া কমান্ডার (সিলেট এরিয়া) মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন সদস্য, শহীদ পরিবারের সদস্য, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, যা পুরো অনুষ্ঠানকে করে তোলে আরও বর্ণিল ও তাৎপর্যময়।
সিলেটসংবাদ/হা




