৩ দিনে ৭৯ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে ভারত
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৩:৩৩ অপরাহ্ণ
ভারতীয় সুন্দরবনের ভারতীয় জলসীমায় ব্যাপক নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত। গত শনিবার থেকে পরপর তিনদিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে তিনটি বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার আটক করেছে ভারত। মাছ সহ এসব ফিশিং ট্রলার বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ৭৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকেও গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় কোস্টাল পুলিশ।
ভারতের সুন্দরবন কোস্টাল বেল্টের অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে আটক করা হয় ২৯ জন বাংলাদেশি মৎজীবীকে। এরপর রবিবার আবারো একটি বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার আটকের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় ২৬ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের সোমবার নামখানার কাছে আরো একটি বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার সহ ২৪ জন মৎস্যজীবীকে আটক করে ভারত।
জানা গেছে, কাকদ্বীপ আদালতে তোলার পর বাংলাদেশি এই মৎস্যজীবীদের আপাতত কারাগারে ঠাঁই হয়েছে। ভারতীয় কোস্টাল থাকা সূত্রে খবর, আচমকা বাংলাদেশি ট্রলারের আনাগোনা ভারতীয় সীমান্তের আশেপাশে বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের একাংশ পুলিশ প্রশাসনের অতি তৎপরতায় বেশ অবাক।
প্রসঙ্গত চলতি বছরে চারটি ভারতীয় ট্রলার বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে। ৬২ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী বাংলাদেশের জেলে বন্দী রয়েছেন। এদের মধ্যে বাবলু দাস নামে এক মৎস্যজীবীর বাংলাদেশের জেলবন্দী অবস্থায় সম্প্রতি মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ভারতীয় মৎসজীবী সংগঠনগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। বাকি ৬১ জন মৎস্যজীবী ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলো।
অনেকেই বলছেন, ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরি করতেই সীমান্ত এলাকা জুড়ে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে ভারত। সর্বশেষ গত দুই মাসে এই নিয়ে প্রায় ছয়টি বাংলাদেশি ট্রলার সহ মোট ১৩৪ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে হেফাজতে নিয়েছে ভারত। যদিও দুই দেশের কোনো তরফেই সরকারি পর্যায়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়নি।
আন্তর্জাতিক/আবির




