শীতভোরে চোখের জলে দ্বীপকে শেষ বিদায়
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৩:২০ অপরাহ্ণ
শীত ঘনিয়ে আসছে সিলেটে। ভোরের দিকে শীত আরও বেড়ে যায়। এস সময় ঘুমও গাঢ় হয়ে আসে। তবে শীত আর ঘুম উপেক্ষা করে আজ ভোরে সিলেট গোপালটিলায় জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ।
ঢাকা থেকে ভোরে গোপালটিলায় এসে পৌঁছে কনটেন্ট ক্রিয়েটর দিপঙ্কর দাস দ্বীপের মরদেহ। তার আগে থেকেই দ্বীপের বন্ধু-শুভানুধ্যায়ীদের অনেকে জড়ো হয়েছেন সিলেটে দ্বীপদের গোপালটিলার বাসার সামনে। রাতভর জেগেও অপেক্ষায় ছিলেন অনেকে। এলাকাবাসীর উদ্যোগে কালো কাপড় দিয়ে বানানো হয়েছিলো শ্রদ্ধা নিবেদনের মঞ্চ।
ভোর ৩ টির দিকে দ্বীপের মরদেহ এসে পৌছে গোপালটিলায়। বাবা বাবা দিব্যোজ্যোতি দাস ও ছোটভাই দিবাকর দাস ধ্রুব কাদে করে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে আনেন কফিন। তখন এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। শেষবারের মতে দ্বীপের হাসিমাখা মুখ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সবাই।
মূহূর্তেই ফুলে ফুলে ডেকে যায় দ্বীপের কফিন। ফুল ও চোখের জলে আকস্মিক মারা যাওয়া এই তরুন কনটেন্ট ক্রিয়েকটরকে বিদায় জানান সবাই। ভোর রাতে নারী, শিশু, বৃদ্ধরাও উপস্থিত হন দ্বীপকে শেস দেখা দেখতে।
যে গোপালটিলা এলাকায় কিছুদিন আগেও চষে বেড়িয়েছিনে দ্বীপ, হেসেখেলে মতিয়ে রেখেছে এলাকার মানুষদের, তার এমন কফিনে নিস্তব্দ হয়ে থাকা মেনে নিতে পারনিনি কেউই। কেঁদেছেন প্রতিবেশিরাও।
সকলের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল ৭টার দিকে দ্বীপের মরদেহ হবিগঞ্জের উদ্দে্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
দ্বীপের কাকাতো ভাই দেবব্রত দাস দেবু বলেন, হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুড়িতে গ্রামের বাড়িতে আজকেই দ্বীপের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
এরআগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মালয়েশিয়ায় কুয়ালালমপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌছছে কনটেন্ট ক্রিয়েটর দীপঙ্কর দাস দ্বীপের মরদেহ।
গত ১২ নভেম্বর (বুধবার) ভোরে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান একুশ বছরের তরুণ দ্বীপ।
উচ্চ শিক্ষার জন্য গত মাসেই মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন সিলেটের গোপালটিলার বাসিন্দা দ্বীপ।
দ্বীপের আকস্মিক মৃত্যুতে সিলেটজুড়েই শোকের ছায়া বইছে। তার স্বজন-বন্ধুদের পাশপাশি সাধারণ মানুষজনও দ্বীপের এমন মৃত্যুতে আফসোস করছেন। দ্বীপের পরিবার সিলেটের গোপালটিলায় থাকেন। তবে তাদের মূল বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবলের পুটিজুড়িতে । তার বাবা দিব্যোজ্যোতি দাস। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় দ্বীপ।
দ্বীপের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দিবাগত রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে বুধবার ভোর ৫ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দ্বীপ।
দ্বীপ ফেসবুকে পারিবারিক বিভিন্ন ইস্যুতে হাস্যরসাত্মক কনটেন্ট তৈরি করতেন। তাতে দ্বীপের সাথে তার মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও অংশ নিতে দেখা যেতো। হাস্যরসাত্মক এসব ভিডিও করে জনপ্রিয়তা পান তিনি।
সিলেট সংবাদ/আবির





