মৃত্যুর আগে যাদের নাম জানিয়েছেন সিলেটের ফাহিম
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
সিলেটে কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মো. ফাহিম (২৩) নামের এক তরুণ মারা গেছেন। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে তিনি মারা যান। সে তসুনামগঞ্জের ছাতকের দোয়ারাবাজার কান্দিগাঁও গ্রামের হারুন রশীদের ছেলে।
গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েন অবশেষে হেরে গেলেন ফাহিম। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হামলাকারীদের নাম বলে দিয়েছেন ফাহিম। পরিবার নিয়ে নগরীর শাহপরান থানার বালুচর এলাকার ছড়ারপাড়ে বসবাস করতেন তারা।
জানা যায়, গত সোমবার কিশোর গ্যাংয়ের দুপক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ তার উপর পরিকল্পিত হামলা চালায়। এসময় হামলাকারিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহতবস্থায় ফেলে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে পরিবারের লোকজন সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু পথে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে আবারও ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাহিমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর আগে হাসপাতালের বেডে শুয়ে তার উপর হামলাকারীদের নাম প্রকাশ করেছেন ফাহিম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন একাধিক ভিডিও ভাইরাল।
তার উপর হামলাকারী যাদের নাম উল্লেখ করে বলেন, মাইল্লা, পেটকাটা ফাহিম, আলম, সবুজ, নুরুজ্জামান, তুহিন, দুবাই মুন্না, রনি, কুদ্দুস, জুয়েল ও রশিদ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ফাহিমের বড় ভাই মো. মামুন আহমেদ (২৫) ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এলাকায় ‘বুলেট মামুন গ্রুপ’ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেন তিনি। গত ১০ অক্টোবর মামুনকে দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১১টি মামলা আছে। মামুন কারাগারে যাওয়ার পর ছোট ভাই ফাহিম বালুচর এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন।
এ নিয়ে একটি পক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। গত সোমবার বালুচর এলাকায় ফাহিমকে একা পেয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও হাতে আঘাত করে ফেলে রেখে যায়। এরপর তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন শাহপরান থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মনির হোসেন। তিনি বলেন, জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।




