লাল নাকি সাদা— কোন রঙের ডিম বেশি উপকারী?
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ
আমরা অনেকেই মনে করি, লাল খোসার ডিম বেশি পুষ্টিকর বা দেশি মুরগির ডিম। আবার কেউ কেউ মনে করি, সাদা ডিমেই সেরা। কিন্তু এ দুই ধরনের ডিমের খোসার রঙের পার্থক্য সত্ত্বেও পুষ্টিগুণে কি সত্যিই কোনো তারতম্য আছে?
ডিম প্রোটিনের এক চমৎকার উৎস, যা প্রায় সব বাড়িতেই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকে। আর বাজারে সাধারণত দুই ধরনের ডিম পাওয়া যায়— একটি হচ্ছে লাল খোসার ডিম (বাদামি), অন্যটি সাদা খোসার ডিম।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন ধরনের ডিম বেশি পুষ্টিকর—
ডিমের খোসার রং ডিম পাড়া মুরগির জাতের ওপর নির্ভর করে থাকে। লাল/বাদামি ডিম সাধারণত রোড আইল্যান্ড রেড বা প্লিমথ রকের মতো বড় ও লালচে পালকযুক্ত মুরগি থেকে আসে। আর সাদা ডিম হোয়াইট লেগহর্নের মতো সাদা পালকযুক্ত মুরগি থেকে আসে। এদের খোসার রঙে ভিন্নতা থাকলেও এটি ডিমের পুষ্টিগুণ বা স্বাদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। খোসার রং শুধু মুরগির জেনেটিক বৈশিষ্ট্য মাত্র।
এ বিষষে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও খাদ্য বিশেষজ্ঞরা একমত যে, ডিমের খোসার রঙের সঙ্গে তার পুষ্টিগুণের কোনো সম্পর্ক নেই। সাদা ও লাল উভয় ডিমেই একই পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে। উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রায় ৬-৭ গ্রাম প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, সেলেনিয়াম এবং কোলিন পাওয়া যায়। স্বাদের পার্থক্য যদি অনুভূত হয়, তবে তা মুরগির খাদ্যাভ্যাস, তার বয়স এবং ডিমটি কতটা টাটকা—এর ওপর নির্ভর করে, খোসার রঙের ওপর নয়। অনেক সময় বাদামী ডিমের খোসা সাদা ডিমের চেয়ে সামান্য পুরু মনে হতে পারে, তবে এটিও মুরগির বয়স এবং ডায়েটের ওপর নির্ভর করে, রঙের ওপর নয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে— লাল ডিম কেন বেশি দাম? কারণ লাল খোসার ডিম অনেক সময় সাদা ডিমের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে— যেসব মুরগি লাল ডিম পাড়ে, তারা সাধারণত আকারে বড় হয় এবং বেশি খাবার খায়। ফলে ডিম উৎপাদনের খরচ বেড়ে যায়। আর কিছু ক্রেতার মধ্যে এই প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে যে, লাল ডিম বেশি স্বাস্থ্যকর, যার কারণে চাহিদা ও মূল্য বাড়ে।
এককথায় লাল খোসার ডিম কিংবা সাদা খোসার ডিম— কোনোটাই একটির চেয়ে অন্যটি বেশি উপকারী নয়। স্বাস্থ্য সচেতনতার ক্ষেত্রে ডিমের রং না দেখে, সেটি টাটকা কিনা এবং মুরগিকে কী খাওয়ানো হচ্ছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।




