কর্নেল অলি বিএনপিতে ফিরছেন!
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ নভেম্বর ২০১৫, ১১:৪৫ অপরাহ্ণ২০ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ বিএনপিতে ফিরছেন বলে জানা গেছে।
কর্নেল অলি আহমেদ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কর্নেল অলি আহমেদ যুক্তরাজ্য সফরে আছেন। সেখানে তিনি কয়েক দিন অবস্থান করবেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে অলি আহমেদ সাক্ষাৎ করবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সাক্ষাৎ হলেও হতে পরে।’
এ ছাড়া কর্নেল অলি আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারী সালাহ উদ্দিন রাজ্জাক বৃহস্পতিবার দুপুরে দ্য রিপোর্টকে জানান, অলি আহমেদ যুক্তরাজ্যে আছেন।
এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপিতে ফেরার বিষয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে চূড়ান্ত কথা বলতেই অলি আহমেদ যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন। সেখানে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সে বৈঠকে দলে (বিএনপি) তার অবস্থান ও তার দলের (এলডিপি) সিনিয়র নেতাদের অবস্থান বিষয়টিও তিনি তাদেরকে কাছে তুলে ধরবেন।
এর আগেও এলডিপি বিলুপ্ত করে দলের নেতাদের নিয়ে কর্নেল অলি বিএনপিতে ফেরার বিষয়ে গুঞ্জন উঠেছিল। বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি বিএনপির চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ নিয়ে দূতিয়ালি করেন।
এ বিষয়ে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বর্তমান একদলীয় শাসন থেকে দেশেকে গণতন্ত্রের পথে ফেরাতে হলে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্য প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে একই প্লাটফর্মে থেকে আন্দোলনের জন্য বিএনপি থেকে বাইরে থাকা নেতাদের আবারও দলে ফেরানের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা আগে থেকেই চলছে। বিষয়টি সম্পূর্ন আমাদের দলের চেয়ারম্যান কর্নেল ড. অলি আহমেদের সিদ্ধান্তের ওপরই নিভর করে।’
অলি আহমেদ বিএনপিতে ফেরার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘উনি (অলি আহমেদ) ২০ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে আমাদের সঙ্গে আছেন। আগে আমাদের দলে ছিলেন। বিএনপিতে ফেরার ব্যাপারে এখনো আলোচনা হয়নি। যদি আসেন তাহলে তো আলোচনার ব্যাপার আছে, সেটা এখনো হয়নি।’
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম বিএনপিতে যোগ দেন। ওই বছরের মার্চে চট্টগ্রাম-১৩ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে নিয়োগ পান প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। এরপরে আরও চার দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন একই আসন থেকে।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে থেকে তিনি জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করেছেন। ১৯৮৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। অলি একানব্বইয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে যোগাযোগমন্ত্রী ও ছিয়ানব্বইয়ে প্রথমে কৃষি, খাদ্য ও পানিসম্পদমন্ত্রী এবং পরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদমন্ত্রী হন।
২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে দলের সঙ্গে মতভেদ সৃষ্টি হয়। অবশেষে চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে এসে ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর অলি আহমদ বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে নিয়ে বিকল্পধারা গঠন করেন। পরে ওখানে থেকে বের হয়ে এলডিপি (লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি) গঠন করেন।
. . . . . . . . .