আমার ‘মা’

মইনুল হাসান আবির:
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মে ২০২৫, ৪:৪৪ অপরাহ্ণজন্মের পরে যাহার মুখে
শিখেছিলাম বুলি
তিনিই আমার মা জননী
কুর্নিশ চরণধূলি।
কোনো দিনই শোধ হবেনা
মায়ের দুধের ঋণ
কোলে-পিঠে করছো বড়
আসবে সুখের দিন।
সুখে-দুখে মায়ের মতো
আপন কেহ্ নাই
ত্রি-ভূবনে খোঁজলে শুধু
মায়ের ছায়া পাই।
মাগো তোমার মুখের হাসি
মধুর চেয়েও মিষ্টি
যতই দূরে থাকি সেথায়
আছে তোমার দৃষ্টি।
যিনি আমার প্রথম শিক্ষক, অভিভাবক ও বন্ধু তিনিই আমার ‘মা’। আমার মা সালমিনা আক্তার। গ্রামের গেরস্তের ঘরের মেয়ে সহজ-সরল একজন মানুষ। বর্তমানে আমরা তিন ভাই-বোন আর আব্বা এ নিয়েই আম্মার পৃথিবী। যাকে নিয়ে হাজারটা উপন্যাস লিখলেও শেষ হবেনা। যার দোয়া চুম্বকের মতো কাজ করেন। আজকের ‘মইনুল হাসান আবির’ হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান। যিনি কখনো কষ্ট বুঝতে দেয়নি আমার একমাত্র পৃথিবী বলতে যাকে চিনি তিনি আমার ‘মা’। ছোটবেলা থেকেই মায়ের মুখে একটা কথা বারবার শুনে এসেছি ‘কেউ বিনা কারনে কষ্ট দিলে বা অহংকার দেখালে নিরব প্রতিবাদী হয়ে কাজের মাধ্যমে জবাব দিতে হয়’ আর এ জন্যই আজ আমি নিজের পথকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে বেঁচে নিয়েছি। তাইতো “সততা নিয়ে কর্মের মধ্যে বাঁচতে চাই, বয়সের মধ্যে নয়” স্বীয় কীর্তির মাধ্যমে মানব হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান পাবার মধ্যেই নিহিত রয়েছে জীবনের প্রকৃত সার্থকতা।
মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণ প্রয়োজন হয় না। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালোবাসা থাকে। তবুও আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই আজকের দিনটি। “মা যেমন মাটির গন্ধেই বোঝেন, কোন ফসল কেমন হবে, তেমনই বোঝেন আমার মনের ভাষা, আমার আবেগের জোয়ার-ভাটা”। তাই বিশ্ব মা দিবসে পৃথিবীর সব মায়েরাই যেন সুখী থাকেন, সন্তান হিসেবে এই যেন হয় আমাদের সবার প্রত্যাশা।
সাহিত্য/সিলেট/আবির