যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তেল চুরির অভিযোগ ইরানের

সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১:০৪ অপরাহ্ণইরানের একটি তেলবাহী জাহাজ আটকের পর তা থেকে ১০ লাখ ব্যারেল তেল চুরি করেছে আমেরিকা। সম্প্রতি প্রকাশিত আদালতের একটি নথি থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরান।
গত ১৯ এপ্রিলের কাছাকাছি সময় আমেরিকা ইরানের তেলবাহী গ্রিসের মালিকানাধীন একটি জাহাজ আটক করে।
সেসময় আমেরিকা জানিয়েছিল যে, এমটি সুয়েজ রাজান নামে গ্রিসের ওই জাহাজ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে চীনের জন্য ইরানের তেল বহন করছিল।খবর সিএনএন ও তাসনিম নিউজের।
জাহাজটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পানিসীমা থেকে আটক করে আমেরিকার টেক্সাস উপকূলে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সেসময় দাবি করে যে, তারা আদালতের কাছ থেকে জাহাজটি আটক করার নির্দেশ পেয়েছে।
আমেরিকা এই জাহাজটি আটক করার পর গ্রিসের কোম্পানি সুয়েজ রাজান লিমিটেড নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের দায় স্বীকার করে। এতে আমেরিকা ওই জাহাজ কোম্পানিকে ২৫ লাখ ডলার জরিমানা করে।
এ ঘটনার পর গত ২০ জুলাই ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নৌ শাখার কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাঙসিরি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কোনো কোম্পানি ইরানি জাহাজ থেকে তেল খালাস করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমটি সুয়েজ রাজান জাহাজ আটকের কয়েকদিন পর ইরানও ওমান সাগর থেকে আমেরিকার একটি তেলবাহী জাহাজ আটক করে। ওই জাহাজে কুয়েত থেকে আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল কোম্পানি জ্বালানি তেল বহন করছিল।
জাহাজটি অবশ্য ইরানের একটি মাছ ধরার ট্রলারকে ধাক্কা দেয় এবং ওই ঘটনায় ইরানের বেশ কয়েকজন ক্রু আহত ও নিখোঁজ হন।
আন্তর্জাতিক/হান্নান