নবীনলীগের বিরোদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহবান
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ অক্টোবর ২০১৫, ১১:০০ পূর্বাহ্ণবাংলাদেশ ও দেশের বাইরে বাংলাদেশ আওয়ামী নবীনলীগ এর বিস্তৃতি এবং আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার মধ্য দিয়ে একটি জনপ্রিয় সংগঠন হিসেবে পরিতিতি লাভ করছে বলে জানালেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসকøাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা দলের বিরোদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী ব্যক্তিদের বিরোদ্ধে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দেশ নেত্রীর প্রতি আহবান জানান।
ষড়যন্ত্রকারী মোহাম্মদ আবুল হোসেন দিপু ও মোমতাহিন জিয়ন বিএনপি ও জামায়াত এর সহযোগী এবং আবুল হোসেন দিপু দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও প্রাইম ইউনিভার্সিটি এর নকল সার্টিফিকেট বিক্রির সাথে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগের ২০১ জন সদস্য বিশিষ্ট পুর্নাঙ্গ কমিটির আতœপ্রকাশ প্রসঙ্গে ও বাংলাদেশ আওয়ামী নবীনলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারীদের বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শেখ মুসতাকিম।তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগ বর্তমানে বাংলাদেশ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে জনপ্রিয় একটি সংগঠন হয়ে উঠেছে। ২০১০ সালের ৫ই মার্চ বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লুৎফুর রহমান সুইট এর নেতৃত্বে “বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগ” মাঠ পর্যায় কাজ শুরু করে।আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০১৫ সালের ৩১ মাচ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সহযোগী সংগঠন হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভানেত্রী এবং সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি আবেদন পত্র জমা দেয়া হয়।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল একটি আহ্বায়ক কমিটি এবং ২০১৫ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় পুর্নাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা দেয়া হয়। ৩১ মার্চ ২০১৫ এর পর থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে এবং দেশের বাহিরে সর্বমোট ৬৩ টি শাখা কমিটি ঘোষণা করেছে নবীনলীগ।
বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লুৎফুর রহমান সুইট এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগ সাংগঠনিক ভাবে দেশে ও দেশের বাহিরে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ করে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে নেতারা বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মোহাম্মদ আবুল হোসেন দিপু ও মোমতাহিন জিয়ন নামক এক ব্যক্তি নিজেকে বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দাবী করে বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সহযোগী সংগঠন হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি আবেদন পত্র জমা দেয়।
কিন্তু কিছুদিন আগে মোহাম্মদ আবুল হোসেন দিপু ও মোমতাহিন জিয়ন বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগ এ যোগাদান করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। আমরা সাংগঠনিকভাবে খোজ খবর নিয়ে জানতে পারি যে, মোহাম্মদ আবুল হোসেন দিপু একজন রাজাকারের সন্তান এবং তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হত্যার আসামী। আবুল হোসেন দিপু ও মোমতাহিন জিয়ন আমাদের এই সংগঠনের বিরোদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। অপপ্রচারের অংশ হিসাবে মোবাইলে এস,এম,এস, ফেসবুকে আইডি এবং ফেসবুকের পেজ দিয়ে আপত্তিকর প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। অভিযোগ করা হয় এমন ষড়যন্ত্রের ফলে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে লুৎফুর রহমান সুইট ও বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগ এর নেতাকর্মীদের দীর্ঘ ৫ বছরের পরিশ্রম প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগ এর নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বিধাদন্দ সৃষ্টি করছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সহযোগী সংগঠন হিসাবে নবীন লীগ এর ভাবমূর্তি ম্লান ও ক্ষুন্ন হচ্ছে। এমতা অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী নবীন লীগ সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে বলা হয় এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়াডর্ ও আন্তর্জাতিক কমিটিগুলোর নেতাকর্মীদের এবং দেশবাসীকে নবীনলীগ জানাতে চায় যে বাংলাদেশ আওয়ামী নবীনলীগ নামে আওয়ামীলীগের একটাই সহযোগি সংগঠন। যার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি লুৎফুর রহমান সুইট। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,ড.মারুফ মান্নান, সাগর চৌধুরী,আমিন সুমন,লিংকন জাকির,ও পুলক হামদাসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
. . . . . . . . .