বিজয়ের মাসে বীর মুক্তিযুদ্ধাদের উপহার দিচ্ছেন ফরিদ গাজী কন্যা: রুবা জেবিন

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ৭:৫৫ অপরাহ্ণস্টাফ রিপোর্ট:
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। আর ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। করোনা মহামারীর কারনে এবারে বিজয় দিবসের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করায় আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীনতার সূর্য সন্তানদেরকে প্রতিবারের ন্যায় সংবর্ধিত করা যাচ্ছেনা। তাই সিলেট জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযুদ্ধাদের কাছে জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় বিজয় দিবসের উপহার নিজ নিজ ইউনিয়নে এমনকি বাড়ী বাড়ী গিয়ে পৌছিয়ে দিচ্ছে সিলেট জেলা পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সদর উপজেলার ৪নং খাদিমপাড়া ও ৫নং টুলটিকর ইউনিয়নে পৃথক পৃথক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠনের মাধ্যমে উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় বীর মুক্তিযুদ্ধাদের হাতে। খাদিমপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আফছর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আমাতুজ্জ জাহুরা রওশন জেবিন। জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার মফিজুর রহমান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী ইশাদ আলী, উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ইমদাদুল হক। টুলটিকর ইউনিয়নে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আলী হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন (মতিচান) উভয় ইউপির সচিব বৃন্দ, জেলা যুবলীগ নেতা আবুল হাসান কাসেম, কামরুজ্জামান শাহীন, সোহেল আহমদ রিপন, সোহেলা আহমদ, ডাঃ এম এ ওয়াহিদ, মোঃ সাইদুল ইসলাম খাঁন প্রমূখ।
রওশন জেবিন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীকে বিতারিত করার মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিনিয়ে এনেছে। ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা কখনও তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেনি।
তিনি বলেন,‘পাকিস্তানী হায়নাদের কবল থেকে যারা জীবন বাজী রেখে এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গর্ব। তারাই এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গৌরব ও অহংকারের মানস পুত্র।
তিনি বলেন,সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই দেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা
‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদেশের জন্য তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।’
. . . . . . . . .