শীতের সবজিতে সিলেটে স্বস্তি

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ৮:০৫ অপরাহ্ণস্টাফ রিপোর্ট:
কয়েক সপ্তাহ ধরে শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বিভিন্ন স্থানের উৎপাদিত সবজি প্রতিদিন সিলেটের বাজারে আসছে। এসব সবজির মধ্যে লাউ, শিম ও মুলার দাম অনেকটা কমেছে।
কিন্তু আলু ও কাঁচামরিচের দাম এখনো কমেনি। আগামী সপ্তাহে স্থানীয় সবজি ব্যাপকহারে বাজারে এলে সব ধরনের সবজির দাম কমবে এমন মন্তব্য একাধিক ব্যবসায়ীর। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সিলেট নগরের বিভিন্ন স্থানে সবজির মূল্য অনেকটা কম দেখা গেছে।
১০০ টাকার লাউ বিক্রি হয়েছে বড় আকারের প্রতিটি ৭০ এবং ছোট আকারের প্রতিটি সর্বনিন্ম ৩৫ টাকায়। ৮০ টাকা মূল্যের শিম প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়, সর্বনিন্ম প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি ৩০/৪০ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আলু প্রতি কেজি এখনো সর্বোচ্চ ৬০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১০০ ও ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৮০ টাকা কেজি মূল্যের বেগুন ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরের করলা বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। শসা বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি। ফুলকপি ৫০ এবং বাঁধাকপি ৩০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে।
শহরের রিকাবীবাজার, বন্দরবাজার, সোবহানীঘাট, মদিনা মার্কেট, টুকের বাজার, এলাকায় এসব সবজি মোটামুটি কম দামে বিক্রি হয়েছে। সবজি বাজারে আসা ক্রেতা আনিস রহমান জানান, এতো দিন ২০০ টাকার সবজি কিনলেও বাজারের ব্যাগে টের পাইত না। আজ ব্যাগ অনেকটা ভরেছে। সবজির মূল্য কমেছে। সবজি আরও বাজারে এলে এবং দাম কমলে মানুষের জীবন বাঁচবে।
ক্রেতা আরমান মিয়া বলেন, ‘আমি যে লাউ ১০০ টাকায় কিনেছি, দাম কমায় আজ কিনেছি ৬০ টাকায়। শিম কিনেছি ৩০ টাকায়, ভালোমানের করলা কিনেছি ৪০ টাকায়। সবজির দাম অনেকটা কমেছে।’
কৃষ্ণনগরের কৃষক লাল মিয়া জানান, সবজি উৎপাদনে এবার হিমশিম খেতে হয়েছে কৃষকদের। সবজির চাষ মোটামুটি ভালো হয়েছে। সবজির দাম কমতে থাকলেও অন্য বছরের তুলনায় এবার সবজি বিক্রি করে কিছুটা কম লাভবান হবে।
কৃষ্ণনগরের কৃষক কিরণ মিয়া জানান, সবজি যেকোনো হাট-বাজারে নিয়ে এলে বিক্রি হয় ভালো দামে। কিন্তু আমরা জমিতে রেখে সামান্য লাভে পাইকারি বিক্রি করি। বাজারের ব্যবসায়ীরা কিনে তাদের ইচ্ছামতো দামে বিক্রি করেন।
ব্যবসায়ী আব্দুর রহীম জানান, স্থানীয় সবজির দাম কমছে। সবজির দাম কমলেও আমরা কিনে কম দামে। বিক্রিও করি কম দামে। ইসলামপুর গ্রামের সবজি বিক্রেতা নাছির মিয়া জানান, সবজির দাম কমছে। বাজারে সবজি এলে আরও কমবে দাম। . . . . . . . . .