করোনায় এবার ঈদ মলিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের সকল দেশে
 
 সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২০, ৫:০৭ পূর্বাহ্ণমাহমুদুর রহমান::
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। আনন্দের এ দিনটিকে ঘিরে বরাবরই খুশির সীমা থাকে না। চারিদিকে উৎসবের আমেজ। ঘরে ঘরে সামর্থ্য অনুযায়ি বাহারি নানা খাবারের আয়োজন। ছোট-বড় সবার পরনেই নতুন কাপড়। বাবা-ছেলে, ভাই-বন্ধু সকলে মিলে দলবেঁধে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া। একের বাড়িতে অন্যের নিমন্ত্রণ। আরো কত কি আনন্দ যে নিহিত থাকে ঈদকে ঘিরে বলে শেষ করা যাবে না।
কিন্তু এবার এক অন্যরকম ঈদ করছি আমরা। করোনাভাইরাসের ভয়াবহ থাবায় টালমাটাল সারা দুনিয়া। আমাদের দেশেও এ ভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রতিদিনই দেশজুড়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। লকডাউনের কারণে সব মানুষই প্রায় ঘরবন্দি। এমন অবস্থায় ঈদ এবার কতটুকু আনন্দ নিয়ে আসবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মহামারী করোনাভাইরাসে কাবু গোটা বিশ্ব। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে তাই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মানুষের প্রাণ বাঁচাতে কারফিউ, লকডাউন দেওয়া হয়েছে ঈদের দিনেও। বহু দেশে ঈদের জামাত না করার অনুরোধ ও ফতোয়া দেওয়া হয়েছে। গণপরিবহন ও যান চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকেই ফিরতে পারেননি পরিবারের কাছে। বন্ধু ও আত্মীয়ের বাসায় বেড়ানো যাবে না। বন্ধ রয়েছে দেশে দেশে শপিং মল, পর্যটন কেন্দ্র। ঈদ উৎসবের এমন চিত্র অভাবনীয়। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই এবারের ঈদ উৎসবের এমন চিত্র।
একই দৃশ্য যুক্তরাষ্ট্রেও। সেখানে এবার ইসলামিক সেন্টার, খোলা মাঠ, কনভেনশন হলে নামাজ আদায় করা যাবে না। অন্যান্য বছর নিউইয়র্কের জর্জ এবং ব্রাউন কনভেনশন সেন্টার টেক্সাসের ডাউনটাউন, হিউস্টোন বিভিন্ন ইসলামিক সংস্থার অর্থায়নে ঈদ উৎসব পালন হলেও এবার তা হচ্ছে অন্য মাত্রায়। করোনায় আক্রান্তদের সাহায্য ও উপহার পৌঁছে ঈদ উৎসবের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদে অনেকে পরিবার-বন্ধুবান্ধব নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যান- এবার সব ধরনের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জার্মানিতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। তবে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে সামাজিক দূরত্ব মানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের নামাজ পড়া যাবে না মসজিদে। সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব মুসলিম জার্মানি, জুমার নামাজ, ঈদের নামাজ মসজিদে না পড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
লেখকঃ মাহমুদুর রহমান
রাজনীতিবিদ ও লেখক।      . . . . . . . . .






