৪ সপ্তাহের ব্যবধানে নিউইয়র্কে করোনায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু

সিলেটেরকন্ঠ রিপোর্ট: নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪ সপ্তাহের ব্যবধানে আপন দুই ভাই মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তারা আমার খালাতো ভাই। দুইজন আমার বাসার পাশে সানিসাইডে থাকতেন। বড় ভাই সানিসাইড মসজিদের মুয়াজ্জিন ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া গত ১ মে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় এলেমহাস্ট হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।(ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে, ২ মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তার স্ত্রী এবং ছোট ছেলে আমেরিকায় এবং ৩ ছেলে ২ মেয়ে বাংলাদেশে। বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে তারা ইমিগ্র্যান্ট হয়ে আসতে পারেননি। যে ভাই তাকে ইমিগ্র্যান্ট করে আমেরিকায় এনেছিলেন সেও গত ৫ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তার নাম ছিলো হারুণ আর রশীদ। তিনি ফরিদ উদ্দিন ভূইয়ার ছোট ভাই। করোনা মরণব্যাধীতে ২৬ দিনের মধ্যেই দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হলো। হারুণ অর রশীদকে ১৭ এপ্রিল লংআইল্যান্ড মুসলিম গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে।
জনাব আনোয়ার বলেন, একটি পরিবারের জন্য এটি হৃদয়বিদারক এবং দু:খজনক ঘটনা। এটা আসলে মেনে নেয়া কঠিন। দুটো মৃত্যু দুটো পরিবারের স্বপ্নকে তছনছ করে দিলো। তিনি আরও বলেন, ফরিদ উদ্দিনকে মাত্র ২ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ দিন আগে তিনি যখন অসুস্থ আমার সাথে তার কথা হয়। তাকে পরামর্শ দিই। এমনকি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ীই তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। আমাকে বললেন, তিনি হাসপাতালে যাবেন না। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস। তাকে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই যেতে হলো। তিনি বলেন, প্রথমে তার জ্বর ছিলো, দ্বিতীয় দিন শ্বাস কষ্ট শুরু হয় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। সাথে সাথেই ৯১১ কল করা হয়। এ্যাম্বুলেন্স এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে প্রথমে জানানো হয়েছিলো তার অবস্থা উন্নতির দিকে এবং তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়ার কথাও বলেছিলো। কিন্তু তার বাসায় ফেরা হলো না, ১ মে দুপুরে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।

  . . . . . . . . .