করোনায় ইফতার নিয়ে পত্রিকার হকারদের ঘরে ঘরে নগর পুলিশের সফি

স্টাফ রিপোর্ট:

সিলেট নগর পুলিশের সদস্য নায়েক সফি।
ভংকর করোনা পরিস্থিতে অসহায়দের মানুষদের হাঁসি ফোটানোর পর এবার ইফতার বিতরণ করছেন মানুষের ঘরে ঘরে। তাঁর ম্যাজিক বোঝা বড্ড মুশকিল অসহায়দের মাঝে রাতে খাদ্য সামগ্রী ও দিনে ইফতার বিতরন করছেন।

জানাযায়, বিগত ৫ দিন ধরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে  ইফতার বিতরণ করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে মিডিয়া ও কমিউনিটি সার্ভিস শাখায় কর্মরত নায়েক সফি আহমেদ।

এদিকে আজ বিকেল ৫ ঘটিকায় বন্দরবাজার এলাকার সন্ধ্যাবাজারে তিনি সিলেটের সকল পত্রিকার প্রায় ৪০ জন হকারদের মাঝে এসব ইফতার বিতরণ করেন। গত ২৬ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত অসহায়, মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে কাছে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করার পর এবার ইফতার সামগ্রী নগরীর হকারদের হাতে তুলেন দেন।

বিশ্বব্যাপী কোভিড১৯ এর থাবায় যখন মানুষ ঘর হতে বের হতে পারছেন তখন নগর পুলিশের এ সদস্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন বলে জানিয়েছেন অসহায় মানুষজন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, নিজের জীবন বাজি রেখে আর্তমানবতা সেবায় কাজ করছেন সফি। কখনো রাতে কখনোইবা সকাল দুপুরে,কখনো ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে।

জানাযায়, পুলিশের খাতায় নাম লেখানো এই পুলিশ সদস্য ভয়ংকর করোনা পরিস্থিতে অসহায়দের মুখে খাবার পৌছে দিয়ে পুলিশ সদস্য হিসেবে নগরে বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন।

একদিন দুদিন নয়? গেল একেক করে ১ মাস যাবত সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্য সফি আহমদ। জানাযায়, তারা তিন বন্ধু মিলে ঘরে ঘরে খাবার সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন।

সফি জানান, পুলিশরা জনগণের বন্ধু তাই ভেবে মানবতার পাশে দাাঁড়াতে তিনি পিছপা হননি। ইতোমধ্যে ২শতাধিক পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী উপহার দিছি, আরও দেয়া হবে। প্রথমে নিজের টাকা দিয়ে তিনি সহায়তা দেওয়া শুরু করেন।

পরে এএসআই সোহেল আহম্মদ এগিয়ে আসে তার সাথে। সফি আহমদকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ফেরদৌস, রাজন, হুমায়ুন, প্রেম, তানিম,ইমরান ও শহিদ।

এছাড়া তাঁর অক্লান্ত প্ররিশ্রম দেখে তাঁর মাধ্যমে অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন বলে এই পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন। পাশাপাশি নিজ এলাকা কুলাউরা ও সিলেট নগরের অসহায়দের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন।

সফি বলেন, নজরুল ইসলাম রিপন, ফাহাদ তিন বন্ধু মিলে নিজ এলাকায় ১০০ পরিবারের কাছে উপহার পৌঁছে দিলেন তাদের এই কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। . . . . . . . . .