জগন্নাথপুরে শিক্ষার জন্যেই কাজ করবে ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্ট

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মার্চ ২০২০, ১১:১০ অপরাহ্ণঅপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবাণ
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
ঐতিহ্যবাহী জনপদ জগন্নাথপুরের শিক্ষার প্রসারে অতীতের ন্যায় আগামী দিনেও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবে জগন্নাথপুর ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্ট। কোনো ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে জগন্নাথপুরের ব্রিটিশ বাংলাদেশী সন্তানরা নিজ এলাকার জন্যে কাজ করে যাবেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এস এম নূর ও সেক্রেটারি হাসনাত আহমদ চুনু। এক বিবৃতিতে তারা একথা জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভাটির জনপদ জগন্নাথপুর উপজেলার শিক্ষার প্রসারে ১৯৯৬ সালে লন্ডনে বসবাসরত জগন্নাথপুরের সন্তানরা এই ট্রাস্ট গঠন করেন। এরপর ২০০০ সাল থেকে উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে বৃত্তি দিয়ে আসছে। গত ২০ বছরে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী ট্রাস্টের বৃত্তি পেয়ে উৎসাহিত হন। বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করছে যা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গৌরবের। এই বৃত্তি উপজেলার শিক্ষাব্যবস্থায় অনেকটা প্রভাব ফেলেছে বলে আমরা মনে করি। কেবল বৃত্তি বিতরণই নয় শিক্ষার জন্যে আমরা গড়ে তুলছি এডুকেশন সেন্টার, যার কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃত্তি বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দেড় হাজারেরও বেশি লোক সমাগম হয়। অনুষ্ঠানে আগম অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয় শুরু থেকেই, যাতে কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অভুক্ত না থাকেন। সকল ধর্মের লোকদের সুবিধার জন্য গরু, মোরগের মাংস দিয়ে বিরিয়ানী করা হয়। যা গত ২০ বছর ধরে নিয়মিত করা হয়ে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু অসাবধানতাবশত কিছু বিরিয়ানীর প্যাকেট একজনের বদলে অন্যজনের নিকট চলে যায় এবং এতে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। যা আমাদের কেউই ইচ্ছে করে করেননি। এতে কারও কারও মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন মাধ্যমে নানান ধরনের অপপ্রচারও করেন, যা সত্যিই দুঃখজনক।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে শিক্ষার প্রসারে আঘাত দিয়ে লাভ নেই। বরং সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করাটাই হলো একমাত্র লক্ষ। অতীতের ন্যায় আগামী দিনেও আমরা শিক্ষার জন্য কাজ করব। এজন্য নেতৃবৃন্দ সকলের সহযোগিতা কামনাও করেন। . . . . . . . . .