এখন মনে হচ্ছে রাজাকাররা ক্ষমতায় আছে, বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীর। তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসে আমরা কথা বলেছি। আমি বিএনপির আমলেও দেখেছি শেখ হাসিনার পুরো আমলও দেখেছি, এই বিজয়ের মাসে বিজয়ের স্টোরি থাকতো। পয়লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হতো ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজয়ের কাহিনী দিয়ে স্টোরি থাকতো মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে।
টেলিভিশনে ডগি থাকতো কর্নারে বিজয়ের একটা প্রতীক দিয়ে।সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিস আলমগীর বলেন, আমি একমাত্র মোহনা টেলিভিশনে দেখেছি আর একটা টেলিভিশনে নাই। সরকার কি আপনাদেরকে নিষেধ করছে এটা করতে? আপনারা করেন নাই কেন? আপনারা করেন নাই।
কারণ এমন একটা আবহ তৈরি হয়েছে মনে হচ্ছে যে, এখন রাজাকাররা শাসন করছে। আপনারা সেই পরিবেশের মধ্যে আছেন। কারণ বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যাচ্ছে না। ৩২ নম্বর আক্রান্ত।
আওয়ামী লীগ যে দলটা স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল তার নাম বললে আপনাকে হেনস্থা করছে। জয় বাংলা বললে পিটাচ্ছে। তার মানে কী?আনিস বলেন, আওয়ামী লীগ একটা রাজনৈতিক দল। সে অপকর্ম করেছে তার সাজা দেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ করেছে সেজন্য আপনি যে কাউকে মারতে পারবেন না।
জয় বাংলা বলার জন্য আপনি কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন না। সেটাই হচ্ছে। একটা ভীতির পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে সরকার। সরকারের তরফ থেকে বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এই শুভেচ্ছার চেহারা দেখলে আপনি বুঝবেন যে কি ধরনের শুভেচ্ছা।সাংবাদিক আনিস বলেন, আগে এক ধরনের ভীতি ছিল যে, টকশো করে বের হওয়ার পরে কোনো এজেন্সির লোক তুলে নেবে। সেরকম এক ধরনের পরিবেশ হয়েছেও, কয়েকজনকে টকশো থেকে বের হওয়ার পরে গ্রেপ্তার করেছে। আর সাংবাদিকদের একটি ভীতি ছিল, আমরা যারাই লিখেছি সেখানে একটু রয়ে শয়ে লিখতে হতো। বিশেষ কিছু বিষয় এভয়েড করতে হতো। তার মানে এই নয় যে আমরা লিখি নাই। কয়েকজন সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করেছে। সেটা নিয়ে বিরাট ফলাও করে প্রচার হয়। কিন্তু তারা সাংবাদিকতা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে, না রাজনীতি করতে গ্রেপ্তার হয়েছে, না একক্টিভিজম করতে গ্রেপ্তার হয়েছে সেটারও বিচার করতে হবে।
আনিস আরো বলেন, যে সম্পাদক তাকে গ্রেপ্তার করল। কী সম্পাদনা করেছে? কী কারণে গ্রেপ্তার করেছে সেগুলো দেখতে হবে। কোন জাতের সম্পাদনা করেছিল? কেন তাকে গ্রেপ্তার করল? সেই আমলে যেমন সাংবাদিকতা করা গিয়েছে এই আমলেও করা যাচ্ছে। কিন্তু করা যাচ্ছে কী রকম? এখনো সেই ভীতিটা কাটে নাই। এই ভীতিটা সরকার দেয়নি। আমি সরকারকে এই জায়গায় থ্যাংকস দেব। সরকার নিজে দেয়নি। কিন্তু ভীতির যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সরকার এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।