সিলেটে একদিনে যে ভাইরাসে সংক্রমিত ১৫ জন
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৯ অপরাহ্ণ
ডেঙ্গু শুধু বর্ষাকালের রোগ নয়। আবহাওয়ার পরিবর্তন হলেও সিলেটে কমছে না ডেঙ্গুর থাবা। আকাশে-বাতাসে শীতের পরশ তবুও সিলেটে থামছে না ডেঙ্গুর ভয়াল দংশন। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। ডেঙ্গু আক্রান্তের হার চোখে পড়ার মতো। সিলেটে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যা জনমনে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, রবিবার (৩০ নভেম্বর) পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ১৬৭ জন। সিলেটে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। নভেম্বর মাসে একদিনে শনাক্তের দিক থেকে এটিই সর্বোচ্চ। বর্তমানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ২৩ জন। তবে দুঃখজনকভাবে চলতি বছরে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ অক্টোবর মারা গেছেন একজন।
এরমধ্যে, এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্বোচ্চ ৭ জন করে রোগী ভর্তি আছেন। এছাড়া হবিগঞ্জে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ৬ জন, সুনামগঞ্জে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ২ জন ও সিলেটে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন রোগী ভর্তি আছেন বলে জানা যায়।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ৪৮২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জে সর্বোচ্চ ২৩৮ জনসহ মৌলভীবাজারে ৯৫ জন সিলেটে ৭৮ জন ও সুনামগঞ্জে ৭১ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সুনামগঞ্জে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ১ জন ও সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জনের প্রাণহানী ঘটেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু জীবানু বহনকারী এডিস মশার জেনেটিক বৈশিষ্টের পরিবর্তন ঘটেছে। অন্যান্য বছর এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকলেও এ বছর নভেম্বর শেষেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না। এছাড়া পূর্বে এ মশা শুধু দিনে কামড়ালেও এখন দিনে বা রাতে যেকোন সময়েই কামড়াচ্ছে। তাই ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে বাসা-বাড়ি ও চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাসহ দিনে-রাতে যেকোন সময় ঘুমানোর সময়ই মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সিলেট/আবির





