সিরাজগঞ্জে ডিবি হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি) হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামি শাহাদত হোসেন নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গুরুতর অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে মৃত্যু হয় শাহাদৎ হোসেনের।
জানা যায়, নিহত শাহাদত হোসেন (৪৫) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের মৃত খলিল হোসেনের ছেলে।
নিহতের ভাই ইসমাইল ও জহুরুলের জানান, গ্রেপ্তারের পর থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন ডিবির ওসি সিদ্দিকুর রহমান ও নাজমুল হোসেনসহ কতিপয় পুলিশ সদস্যরা।
পরিবারের অভিযোগ, শাহাদৎকে আটকের পর ৫ লাখ টাকা দাবি করে ডিবি পুলিশ। তাদের চাহিদা মোতাবেক টাকা না দেওয়ার কারণে পুলিশ অমানবিক নির্যাতন করে শাহাদৎকে। পরে বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সিনিয়র নার্স এমি খানম বলেন, ‘আমাদের কাছে শারিরীক নির্যাতন হিসেবেই ভর্তি করে ডিবি পুলিশ। আমরা চিকিৎসা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়ে।’
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, শুক্রবার সকালেই তাকে আটক করা হয়। এরপর দুপুরের দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন ।
এদিকে এই ঘটনায় সাইদুল নামের আরেক সন্দেহভাজন আসামিকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
তার পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনার সঙ্গে সাইদুলের কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ তাকে আটক করছে পুলিশ। আর আটকের পর থেকেই এক লক্ষ টাকা দাবি করে আসছে পুলিশ।
সাইদুলের ভাই বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে আমার ভাই কোথায় আছে আমরা তার জানি না। ডিবি কার্যালয়ে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।’
উল্লাপাড়ার ওসি মো. একরামুল হক বলেন, ‘শাহাদাৎকে ধরিনি। আসামির বিষয়ে ডিবির এসআই নাজমুল হককে শুধু তথ্য দেওয়া হয়েছে। তারাই মূলত তাকে ধরতে পারেন।’
এদিকে ডিবির এসআই নাজমুল হককে কল করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য যে, গত ১২ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় এক অটোরিকশা চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে কে বা কারা। সেই মামলায় শাহাদাৎ হোসেন নামে এক ভ্যানচালককে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন আগে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর দফায় দফায় পুলিশ টাকা দাবি করলে শাহাদৎ-এর পরিবার তা না দিতে পারায় চালানো হয় শারিরীক নির্যাতন। শুক্রবার বিকেলে ডিবি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় শাহাদৎ হোসেনের।
পরিবারের দাবি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ বলছে, ‘শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত থাকার কারণে মৃত্যু হয়েছে তার।’




