দেশজুড়ে প্রতারণার পর সিলেটে কোটি টাকা হাতিয়ে নিলো এই চক্র
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ৪:১৯ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জে ভূয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারণার মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে র্যাব।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র্যাব-৯ ও র্যাব-১৩ এর যৌথ অভিযানে সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শ্রীবর্দীপুর ঘোষপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, গত কয়েক মাস আগে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সুনামগঞ্জ শহরে ভাড়া বাসায় ওঠে এবং “মেসার্স আব্দুল্লাহ বানিজ্যালয়” নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে পেয়াজ, রসুন ও আলু ব্যবসার আড়ালে প্রতারণা চালায়। প্রথমদিকে তারা স্থানীয় বাজারদরের চেয়ে কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করে। পরে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বড় চালানের অর্ডারের নামে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেয়।
পুলিশ বলছে, টাকা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পর প্রতিষ্ঠানটি তালাবদ্ধ করে ওই চক্র সুনামগঞ্জ থেকে পালিয়ে যায়। পরে একজন ব্যবসায়ী বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার পর র্যাব-৯ সুনামগঞ্জ ক্যাম্প তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় তদন্ত শুরু করে। পরে র্যাব-৯ সুনামগঞ্জ ও র্যাব-১৩ গাইবান্ধার যৌথ অভিযানে কিশোরগঞ্জ জেলার ছয় জনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাসুরদিয়ার গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে রফিকুল ইসলাম সোহেল (৩৯), তার স্ত্রী নারগিস আক্তার (৩৪), নিকলি উপজেলার নাগার ছিহাটি গ্রামের আব্বাস উদ্দিনের মেয়ে শাহানা পারভীন (৪৩), কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই গ্রামের হেকিম মিয়ার ছেলে মশিউর রহমান ওরফে মাসুক (৩০), কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আ. হেকিমের ছেলে শফিউর রহমান (২৬) এবং তার স্ত্রী রিনা আক্তার (২০)।
র্যাবের ভাষ্য, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা অন্যান্য জেলাতেও একই কায়দায় প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে।
আটকদের পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য সুনামগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব জানায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।




